বোচাগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
দিনাজপুরের বোচাগঞ্জ উপজেলা ব্যবসা কেন্দ্রিক উপজেলায় পরিণত হওয়ার কারনে যত্রতত্র ভাবে গড়ে উঠা অটো রাইস মিলের ছাই, অবৈধ ট্রাক্টার ও সড়কের ধুলাবালিতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে সেতাবগঞ্জ পৌরবাসী।
কোন নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করেই বাসাবাড়ি ও স্কুলের পাশে গড়ে উঠেছে অটো রাইস মিল। এসব অটোমিলের ছাই মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা কে ব্যহত করে তুলেছে। ঘর থেকে বের হলেই চোখে চশমা পড়া জরুরী হয়ে পড়েছে। এই চশমাও অনেক সময় কোন কাজে আসছে না। চশমার ফাক দিয়ে চোখে ঢুকে পড়ছে অটো মিলের ছাই। বাসা বাড়ির ছাদ, গাছপালা, ভেজা কাপর ও রান্নাকরা খাবার নষ্ট হচ্ছে উড়ে আসা ছাইয়ে কারনে।
বোচাগঞ্জ উপজেলায় ৩৫টির মত অটো রাইস মিল চলমান আছে, তাতে হাতে গোনা কয়েকটি অটো মিলে ছাই-ক্লোন (ছাই উড়া প্রতিরোধক) ব্যবস্থা থাকলেও অধিকাংশ মিলে তা নেই। এতে করে স্কুল পড়ুয়া ছেলে মেয়েদের নিয়ে বিপাকে পরেছে অভিভাবক মহল। আগুন ঝড়া ফাগুনের বাতাস শুরু হতে না হতেই অটো মিলের ছাইয়ে সয়লাব পৌরসভার অলিগলি। পৌরশহরের প্রতিটি বাসাবাড়ির ছাঁদ কিংবা টিনের চালায় জমা হচ্ছে কালো ছাইয়ের আস্তর। নষ্ট হচ্ছে গাছপালা, ফুলের বাগান ও টিনের চালা। নষ্ট হচ্ছে পরিবেশ। পাশাপাশি অবৈধ ট্রাক্টার ধুলাবালি উড়িয়ে বীরর্দপে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে সেতাবগঞ্জ পৌরশহরের অলিগলি। এইসব ট্রাক্টরের নেই কোন প্রয়োজনীয় কাগজপত্র। এই ট্রাক্টরের কারনে ঘটছে সড়ক দুর্ঘটনা। এর মাঝে নতুন ভোগান্তি যোগ হয়েছে দিনাজপুর সেতাবগঞ্জ সড়ক উন্নয়নের কাজ। এই কাজের কারনে সেতাবগঞ্জ পৌরসভার প্রধান সড়ক স্কুল রোড হতে উপজেলা গেইট প্রযন্ত সড়কে সৃষ্টি হয়েছে ধুলাবালির স্বর্গরাজ্য।
দিনাজপুর জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক রেজা জানান, প্রতিটি অটো রাইস মিলে ছাই-ক্লোন স্থাপনের কথা থাকলেও আমরা তা শত ভাগ বাস্তবায়ন করতে পারিনাই। তবে দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রতিটি অটো রাইস মিলে ছাই-ক্লোন স্থাপন বাস্তবায়ন করা হবে।
অভিভাবক মহল দ্রুত সময়ের মধ্যে বাসাবাড়ি ও স্কুলের পাশে গড়ে উঠা অটো রাইস মিল অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার দাবি জানান। পৌরশহরের ধুলাবালি এবং অটোমিলের ছাইয়ের কারনে বেড়ে যেতে পারে চক্ষু রোগী ও শহরের ধুলাবালুর কারনে স্বাসকষ্টের মত জটিল রোগীর সংখ্যা। সেতাবগঞ্জ পৌরসভাসহ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছেন সাধারণ মানুষ।