গাইবান্ধা প্রতিনিধি
গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার ৬ নং ধাপেরহাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম শিপন জরুরী সংবাদ সম্মেলন করে তার বিরুদ্ধে ৪ জন ইউপি সদস্যের অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
আজ রবিবার বেলা ১১টায় ধাপেরহাট ইউনিয়ন পরিষদের হল রুমে শহিদুল ইসলাম শিপন ৮ জন ইউপি সদস্য সহ জরুরী সংবাদ সম্মেলন করে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেন।
তিনি এ-সময় বলেন, ইউপি সদস্যগন মিথ্যা অপ-প্রচার করে আমার মানহানি সহ ইউনিয়ন বাসীর নিকট হেয় প্রতিপন্ন করার হীন প্রচেষ্টা লিপ্ত রয়েছে। আমি এর তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন সহ প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমার বিরুদ্ধে ইউপি সদস্যরা যাচ্ছে তাই ভাবে অপপ্রচার করছে। তারা আমাকে ইউপি সদস্যের স্বাক্ষর জালকারী, গোপনে কোনো রেজুলেশনকারী, জীবিত মানুষকে মৃত্যু দেখিয়ে সেই স্থানে অন্যেকে ভাতা ভোগীর আওতায় অন্তর্ভুক্ত করা, বয়স্ক, বিধবা, প্রতিবন্ধী, গভবর্তী ভাতাসহ সরকারী ভাতা বা সুযোগ-সুবিধা প্রদানে অনৈতিক সুবিধা নেয়ার অপপ্রচার চালাচ্ছেন। যা আসলে ভিত্তিহীন।
তিনি বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা এবং মাইকিং করে লাইফ ভেরিফিকেশনের মাধ্যমে উপযুক্ত ব্যক্তিদের প্রদান করা হয়। সেখানে উৎকোচ গ্রহণ তো দূরের কথা বরং অসহায় মানুষকে ভ্যান ভাড়া দিয়ে তাদের বাড়িতে পৌঁছিয়ে দিতে হয়। গোপনে কোনো মিটিং করার প্রশ্নই আসেনা। ইউনিয়ন পরিষদে মিটিংয়ের প্রয়োজন হলে কমপক্ষে ৭ দিন পূর্বে সচিবের মাধ্যমে সম্মানিত ইউপি সদস্যগণকে নোটিশ প্রদান করা হয়। যদি কোন ব্যক্তি মারা যায় তার মৃত্যু সনদ সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য প্রদান করে থাকে এতে আমার কোন হাত নেই। আমি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের সঙ্গে পূর্বেও ছিলাম এখনও আছি। বরং আমার জনপ্রিয়তায় ঈষান্বীত হয়ে পতিত সরকারে এজেন্টা বাস্তবায়নের চেষ্টায় ৪ জন ইউপি সদস্য আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে।
এ-সময় উপস্থিত ইউপি সদস্যগণ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। এ-সময় উপস্থিত ছিলেন, ইউনিয়ন পরিষদের ১২ জন ইউপি সদস্যের মধ্যে ৮ জন তারা হলেন, ইউপি সদস্য, শাহাদাত হোসেন (২নং ওয়ার্ড ), একরামুল হক (৩নং ওয়ার্ড ), আবু তালেব (৪নং ওয়ার্ড ), ইউনুস আলী (৮ ওয়ার্ড), আসাদুল আকন্দ (৯ ওয়ার্ড), ইউপি সদস্য (মহিলা) লাভলী বেগম (৭,৮,৯ নং ওয়ার্ড), হাসনা বেগম (১,২,৩ নং ওয়ার্ড), রওশন আরা (৪,৫,৬ নং ওয়ার্ড) ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা ইউনুস আলীসহ এলাকার সুধীজন সহ সাদুল্লাপুর উপজেলার গণমাধ্যম কর্মীরা।