আক্কেলপুর (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি
বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার ও থ্রি ফেজ মিটার চুরি আতঙ্কে রাত্রীযাপন করছে জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির থ্রি-ফেজ মিটার গ্রাহকরা। এতে গভীর নলকূপ মালিক ও ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি ফসল উৎপাদনে কৃষকরাও পরেছেন বিপাকে। বৈদ্যুতিক মিটার চুরির পরে অপরাধীরা ফোন নাম্বার রেখে গেলেও তারা থাকছে ধরা ছোঁয়ার বাহিরে। থানা পুলিশের দাবি নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।
জয়পুরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আক্কেলপুর জোনাল অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ১১ অক্টেবর থেকে ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার ১৩টি ও থ্রি ফেজ মিটার ৬টি মিলিয়ে মোট ১৯টি চুরি ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে অক্টোবর মাসে ৬টি ট্রান্সফরমার ও ১টি থ্রি-ফেজ বৈদ্যুতিক মিটার, নভেম্বর মাসে ৬টি ট্রান্সফরমার এবং ডিসেম্বর মাসে ১টি ট্রান্সফরমার ও ৫টি থ্রি-ফেজ বৈদ্যুতিক মিটার চুরি হয়েছে। চুরি যাওয়া সকল ট্রান্সফরমারই ছিল ১০ কেভিয়ে। সব মিলিয়ে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১০ লক্ষ টাকা। প্রতিটি ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
আরো জানা গেছে, প্রতিটি বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চুরির সময় অপরাধীরা ট্রান্সফরমার ভেঙ্গে ভেতরের তামার অংশ নিয়ে যায় এবং থ্রি ফেজ বৈদ্যুতিক মিটার চুরির পরে যোগাযোগের জন্য ফোন নাম্বার রেখে যায়। সেই ফোন নাম্বারে যোগাযোগ করলে মিটার ফিরে পেতে অপরাধীরা টাকা দাবি করে।
আক্কেলপুর পৌর এলাকার ছ’মিল মালিক তহিদুল ইসলাম বলেন, গত শনিবার আমার একটি ট্রান্সফরমার ও প্রতিষ্ঠানের দরজার ছিটকিনি কেটে ভেতর থেকে মালামাল চুরি হয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে ব্যবসা করা কঠিন হয়ে যাবে।
জয়পুরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আক্কেলপুর জোনাল অফিসের কর্মকর্তা মোহা. আব্দুর রহমান বলেন, প্রতিনিয়ত বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার ও থ্রি ফেজ মিটার চুরির ঘটনা ঘটছে। আমরা চুরি রোধে গ্রাহকদের প্রতিনিয়ত সচেতন করছি। প্রতিটি ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
আক্কেলপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মইনুল ইসলাম বলেন, অপরাধীদের শনাক্ত করে দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য আমাদের চেষ্টা অব্যাহত আছে।