আমন মৌসুমে ধান সংগ্রহ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা, দেড়মাসে সংগ্রহ মাত্র ৭শতাংশ
নিজস্ব প্রতিবেদক
দিনাজপুরে চলতি আমন মৌসুমে ধান-চাল সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়েছে দেড় মাস আগে। এবার প্রতি কেজি ধানের দাম ১ টাকা বাড়িয়েছে খাদ্য বিভাগ। তবে এখন পর্যন্ত কাঙ্খিত ধান গুদামজাত করতে পারেনি বিভাগটি। অন্যদিকে উৎপাদন খরচের তুলনায় দাম কম হওয়ায় গুদামে চাল দিতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না মিল মালিকরা। এতে চলতি মৌসুমে ধান ও চাল সংগ্রহ অভিযানের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হওয়া নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। সমগ্র জেলায় ১৭ হাজার ৯৯১ মেট্রিকটন ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও সংগ্রহ হয়েছে মাত্র ১২৬৭ মেট্রিকটন, যা লক্ষ্যমাত্রার মাত্র ৭শতাংশ। তবে ধানের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন না হলেও চাল সংগ্রহ অভিযান শতভাগ সফল হবে বলে আশা খাদ্য কর্মকর্তাদের।
কৃষকরা বলছেন, সরকারি গুদামে ধান দেয়ার পর ব্যাংকে টাকা নেয়াসহ নানা ঝামেলা পোহাতে হয়। আবার সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে খোলাবাজারে ধানের দাম বেশি। এজন্য গুদামে ধান দিতে আগ্রহ নেই কৃষকদের।
দিনাজপুর জেলা খাদ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গত ১৭ নভেম্বর দিনাজপুর জেলায় আমন মৌসুমে ধান ও চাল সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়, যা আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে। গত বছরের তুলনায় এবার প্রতি কেজি ধানের দাম ১ টাকা বাড়িয়ে ৩৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। কৃষকদের কাছ থেকে ১৭৯৯১ টন ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। এছাড়া চালের দাম ২ টাকা বাড়িয়ে ৪৭ টাকা করা হয়েছে। এ দামে ৯১১ জন মিল মালিকদের কাছ থেকে ৫২৮৭২.৮১ টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া ৮৪ মিল মালিকের কাছে ৪৬ টাকা কেজি দরে ১১৬৪৭.৬৮ টন আতপ চালও সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।
সূত্র আরও জানায়, গত ৫জানুয়ারি পর্যন্ত উপজেলার ২৬ টি খাদ্যগুদামে সেদ্ধ চাল সংগ্রহ হয়েছে মোট ২৬ হাজার ৭০২.৮৪ মেট্রিকটন যা লক্ষ্যমাত্রার শতকরা ৫৭ ভাগ। আতপ চাল সংগ্রহ হয়েছে ৫ হাজার ৩০১.৪৭ মেট্রিকটন যা লক্ষ্যমাত্রার শতকরা ৪৬ ভাগ। এছাড়া ধানের জেলা হলেও ধান সংগ্রহের হার একেবারে নাজুক। সমগ্র জেলায় ১৭ হাজার ৯৯১ মেট্রিকটন ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও সংগ্রহ হয়েছে মাত্র ১২৬৭ মেট্রিকটন, যা লক্ষ্যমাত্রার মাত্র ৭ শতাংশ।
প্রাপ্ত তথ্যে বিভিন্ন খাদ্য গুদামের ধান চাল সংগ্রহ প্রতিবেদন থেকে ৫জানুয়ারি পর্যন্ত দেখা যায়, সিএসডি তে সেদ্ধ চালের সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ৮ হাজার ৮৯২.৫৭০ মে.টন থাকলেও সংগ্রহ হয়েছে ৪ হাজার ২৩.৪৮ মে.টন যা লক্ষ্যমাত্রার শতকরা ৫০ ভাগ। আতপ চাল ৪ হাজার ৬০৫.৭৫মে.টন এর স্থলে সংগ্রহ ১ হাজার ৭৫৩.৬২ মে.টন যা লক্ষ্যমাত্রার ৩৮ শতাংশ। আমন ধান ৯০০ মে.টন এর স্থলে সংগ্রহ হয়নি এককেজি ধানও।
পুলহাট খাদ্য গুদামে সেদ্ধ চালের সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ১২ হাজার ৮০২.৪১ মে.টন থাকলেও সংগ্রহ হয়েছে ৪ হাজার ৭৭৮.৯৪ মে.টন যা লক্ষ্যমাত্রার শতকরা ৪২ ভাগ। আতপ চাল ৪ হাজার ৩১৪.৯০ মে.টন এর স্থলে সংগ্রহ ২ হাজার ২৮৪.৩৫ মে.টন যা লক্ষ্যমাত্রার ৫৩ শতাংশ। আমন ধান ৯৪৬ মে.টন এর স্থলে সংগ্রহ হয়েছে মাত্র ২ মে.টন যা শতকরা ০ ভাগ।
বিরল খাদ্য গুদামে সেদ্ধ চালের সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ২ হাজার ৮১৫.২০মে.টন থাকলেও সংগ্রহ হয়েছে ১ হাজার ৪৭২.৭০ মে.টন যা লক্ষ্যমাত্রার শতকরা ৫৩ ভাগ। আতপ চাল ৭৩.৫০ মে.টন এর শতভাগ সংগ্রহ হয়েছে। আমন ধান ১ হাজার মে.টন এর স্থলে সংগ্রহ হয়নি এককেজি ধানও।
মঙ্গলপুর খাদ্য গুদামে সেদ্ধ চালের সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ১ হাজার ৩৪৭.৭৮ মে.টন থাকলেও সংগ্রহ হয়েছে ৮৭১.৫৩ মে.টন যা লক্ষ্যমাত্রার শতকরা ৬৫ ভাগ। আতপ চাল ৭৩.৫০ মে.টন এর স্থলে সংগ্রহ হয়নি এককেজি চালও। আমন ধান ৯৭৮ মে.টন এর স্থলে সংগ্রহ হয়নি এককেজি ধানও।
সেতাবগঞ্জ খাদ্য গুদামে সেদ্ধ চালের সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ৯ হাজার ৩১৫ মে.টন থাকলেও সংগ্রহ হয়েছে ৭ হাজার ৬৭৫.৩২ মে.টন যা লক্ষ্যমাত্রার শতকরা ৯৩ ভাগ। আতপ চাল ৩৯৩ মে.টন এর স্থলে সংগ্রহ ৬০ মে.টন যা লক্ষ্যমাত্রার ১৫ শতাংশ। আমন ধান ১ হাজার ১৪৪ মে.টন এর স্থলে সংগ্রহ হয়নি এককেজি ধানও।
কাহারোল খাদ্য গুদামে সেদ্ধ চালের সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ৫০২.৯৮ মে.টন থাকলেও সংগ্রহ হয়েছে ৯৭.২৩ মে.টন যা লক্ষ্যমাত্রার শতকরা ২৫ ভাগ। আতপ চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নেই। আমন ধান ১ হাজার ৫৪ মে.টন এর স্থলে সংগ্রহ হয়েছে মাত্র ১ মে.টন যা লক্ষ্যমাত্রার শতকরা ০ ভাগ।
বীরগঞ্জ খাদ্য গুদামে সেদ্ধ চালের সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ৯০৩.৮৭ মে.টন থাকলেও সংগ্রহ হয়েছে ২৩২.৫০ মে.টন যা লক্ষ্যমাত্রার শতকরা ৪৪ ভাগ। আতপ চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নেই। আমন ধান ১ হাজার ৭৭ মে.টন এর স্থলে সংগ্রহ হয়নি এককেজি ধানও।
কবিরাজহাট খাদ্য গুদামে সেদ্ধ চালের সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ৭৭৪.১২ মে.টন থাকলেও সংগ্রহ হয়েছে ৪৮৬.৭০মে.টন যা লক্ষ্যমাত্রার শতকরা ৬৫ভাগ। আতপ চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নেই। আমন ধান ১ হাজার মে.টন এর স্থলে সংগ্রহ হয়নি এককেজি ধানও।
খানসামা খাদ্য গুদামে সেদ্ধ চালের সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ২২৯.২৬ মে.টন থাকলেও সংগ্রহ হয়েছে ৫০.৯১ মে.টন যা লক্ষ্যমাত্রার শতকরা ২২ ভাগ। আতপ চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নেই। আমন ধান ৫০০ মে.টন এর স্থলে সংগ্রহ হয়নি এককেজি ধানও।
পাকেরহাট খাদ্য গুদামে সেদ্ধ চালের সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ৪৩৮.৭২ মে.টন থাকলেও সংগ্রহ হয়েছে ১৬২.৪২ মে.টন যা লক্ষ্যমাত্রার শতকরা ৪০ভাগ। আতপ চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নেই। আমন ধান ৪৫৪ মে.টন এর স্থলে সংগ্রহ হয়নি এককেজি ধানও।
চিরিরবন্দর খাদ্য গুদামে সেদ্ধ চালের সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ৫৯৭.৮৭ মে.টন থাকলেও সংগ্রহ হয়েছে ৫২৪.৯৪ মে.টন যা লক্ষ্যমাত্রার শতকরা ৮৮ ভাগ। আতপ চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নেই। আমন ধান ৬০০ মে.টন এর স্থলে সংগ্রহ হয়নি এককেজি ধানও।
রানীরবন্দর খাদ্য গুদামে সেদ্ধ চালের সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ৬৫২.০৫ মে.টন থাকলেও সংগ্রহ হয়েছে ১৪৮.৬৫ মে.টন যা লক্ষ্যমাত্রার শতকরা ২৯ ভাগ। আতপ চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নেই। আমন ধান ৬০০ মে.টন এর স্থলে সংগ্রহ হয়েছে ৪ মে.টন যা লক্ষ্যমাত্রার ১ শতাংশ।
আমবাড়ী (চিরিরবন্দর) খাদ্য গুদামে সেদ্ধ চালের সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ২ হাজার ৭৯৭.০৮ মে.টন থাকলেও সংগ্রহ হয়েছে ১ হাজার ৭০৪.৬৩ মে.টন যা লক্ষ্যমাত্রার শতকরা ৬৩ ভাগ। আতপ চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ৮৩২.৭১ মে.টন এর স্থলে সংগ্রহ ৩৯১.৩ মে.টন যা ৪৭শতাংশ। আমন ধান ৪১৪ মে.টন এর স্থলে সংগ্রহ হয়নি এককেজি ধানও।
পার্বতীপুর খাদ্য গুদামে সেদ্ধ চালের সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ৯১০.৮৩ মে.টন থাকলেও সংগ্রহ হয়েছে ৬৮৭.৮৪ মে.টন যা লক্ষ্যমাত্রার শতকরা ৭৮ভাগ। আতপ চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ৭২.৯৯ মে.টন এর স্থলে সংগ্রহ হয়নি। আমন ধান ৫০০ মে.টন এর স্থলে সগ্রহ হয়নি এককেজি ধানও।
ভবানীপুর খাদ্য গুদামে সেদ্ধ চালের সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ৫৬২.০৮ মে.টন থাকলেও সংগ্রহ হয়েছে ৫৪ মে.টন যা লক্ষ্যমাত্রার শতকরা ১১ ভাগ। আতপ চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নেই। আমন ধান ৫০০ মে.টন এর স্থলে সংগ্রহ হয়নি এককেজি ধানও।
মন্মথপুর খাদ্য গুদামে সেদ্ধ চালের সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ৪৮.৬৯ মে.টন থাকলেও সংগ্রহ হয়েছে ৪৮.৬৯ মে.টন যা লক্ষ্যমাত্রার শতকরা ১০০ ভাগ। আতপ চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নেই। আমন ধান ৫০০ মে.টন এর স্থলে সংগ্রহ হয়নি এককেজি ধানও।
আমবাড়ী (পার্বতীপুর) খাদ্য গুদামে সেদ্ধ চালের সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ২৩৮.৩৮ মে.টন থাকলেও সংগ্রহ হয়েছে ২০.১০ মে.টন যা লক্ষ্যমাত্রার শতকরা ১১ ভাগ। আতপ চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নেই। আমন ধান ৪৮৭ মে.টন এর স্থলে সংগ্রহ হয়নি এককেজি ধানও।
ফুলবাড়ী খাদ্য গুদামে সেদ্ধ চালের সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ২ হাজার ৪৩৯.৭৫ মে.টন থাকলেও সংগ্রহ হয়েছে ৮৭৭.১৮ মে.টন যা লক্ষ্যমাত্রার শতকরা ৪০ ভাগ। আতপ চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ৭৯৫ মে.টন এর স্থলে সংগ্রহ ৫৩১.১০ মে.টন যা ৬৭ শতাংশ। আমন ধান ৫৫০ মে.টন এর স্থলে সংগ্রহ হয়েছে ১ মে.টন যা শতকরা ০ ভাগ।
মাদিলাহাট খাদ্য গুদামে সেদ্ধ চালের সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ১ হাজার ১৭৬.২৪ মে.টন থাকলেও সংগ্রহ হয়েছে ৪৩২.৯০ মে.টন যা লক্ষ্যমাত্রার শতকরা ৪১ ভাগ। আতপ চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নেই। আমন ধান ৭০৮ মে.টন এর স্থলে সংগ্রহ হয়নি কোন ধান।
চরকায় খাদ্য গুদামে সেদ্ধ চালের সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ২ হাজার ৫২৭.৯৮ মে.টন থাকলেও সংগ্রহ হয়েছে ৩৯৫মে.টন যা লক্ষ্যমাত্রার শতকরা ২৩ ভাগ। আতপ চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ২৬৭ মে.টন এর স্থলে সংগ্রহ ৩৮.৫০ মে.টন যা ১৪ শতাংশ। আমন ধান ১ হাজার ১৯৮মে.টন এর স্থলে সংগ্রহ হয়েছে ১ মে.টন যা শতকরা ০ ভাগ।
হিলি খাদ্য গুদামে সেদ্ধ চালের সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ১৬৩.৯৮ মে.টন থাকলেও সংগ্রহ হয়েছে ৪৬.৩২ মে.টন যা লক্ষ্যমাত্রার শতকরা ৩৪ ভাগ। আতপ চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ৭২.৯৯ মে.টন এর স্থলে সংগ্রহ ৭২.৯৯ মে.টন যা ১০০ শতাংশ। আমন ধান ৫৬৪ মে.টন এর স্থলে সংগ্রহ হয়নি কোন ধান।
দাউদপুর খাদ্য গুদামে সেদ্ধ চালের সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ১ হাজার ৭৯.৯৪ মে.টন থাকলেও সংগ্রহ হয়েছে ৭৪৮.৯৮ মে.টন যা লক্ষ্যমাত্রার শতকরা ৭২ ভাগ। আতপ চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নেই। আমন ধান ৯৩১ মে.টন এর স্থলে সংগ্রহ হয়েছে ২৫৭ মে.টন যা শতকরা ২৮ ভাগ।
ভাদুরিয়া খাদ্য গুদামে সেদ্ধ চালের সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ৭২৪.৭১ মে.টন থাকলেও সংগ্রহ হয়েছে ৫৭৩.৯৬ মে.টন যা লক্ষ্যমাত্রার শতকরা ৭৯ ভাগ। আতপ চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ১০০.৩৫ মে.টন এর স্থলে সংগ্রহ ৭২.৯৯ মে.টন যা ৭৩ শতাংশ। আমন ধান ৫৮৫ মে.টন এর স্থলে সংগ্রহ হয়েছে ৩৭৮ মে.টন যা শতকরা ৬৫ ভাগ।
ঘোড়াঘাট খাদ্য গুদামে সেদ্ধ চালের সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ২৩৫.৯৮ মে.টন থাকলেও সংগ্রহ হয়েছে ৯৬ মে.টন যা লক্ষ্যমাত্রার শতকরা ৪০.৬৮ ভাগ। আতপ চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নেই। আমন ধান ৮০ মে.টন এর স্থলে সংগ্রহ হয়নি কোন ধান।
ডুগডুগী খাদ্য গুদামে সেদ্ধ চালের সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ১৩৫.৪৫ মে.টন থাকলেও সংগ্রহ হয়েছে ১২৭.২০ মে.টন যা লক্ষ্যমাত্রার শতকরা ৯৪ ভাগ। আতপ চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নেই। আমন ধান ২২০ মে.টন এর স্থলে সংগ্রহ হয়েছে ২২০ মে.টন যা শতকরা ১০০ ভাগ।
রানীগঞ্জ খাদ্য গুদামে সেদ্ধ চালের সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ৩০০.৫৭ মে.টন থাকলেও সংগ্রহ হয়েছে ২৪২.৩১ মে.টন যা লক্ষ্যমাত্রার শতকরা ৮৭ ভাগ। আতপ চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ৪৫.৯৯ মে.টন এর স্থলে সংগ্রহ ২৩.১০ মে.টন যা ৫০ শতাংশ। আমন ধান ৪০৩ মে.টন এর স্থলে সংগ্রহ হয়েছে ৪০৩ মে.টন যা শতকরা ১০০ ভাগ।
হরিপাড়াহাট খাদ্য গুদামে সেদ্ধ চালের সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ২৫৯.৩২ মে.টন থাকলেও সংগ্রহ হয়েছে ১২২.১৬ মে.টন যা লক্ষ্যমাত্রার শতকরা ৮৯ ভাগ। আতপ চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নেই। আমন ধান ৯৮ মে.টন এর স্থলে সংগ্রহ হয়নি কোন ধান।
খাদ্য গুদামে ধান সরবরাহে অনাগ্রহের কারণ হিসেবে কৃষকরা জানান, ‘সরকারি খাদ্যগুদামে ধান দিতে গিয়ে ঝামেলা পোহাতে হয় কৃষকদের। আবার খোলাবাজারের তুলনায় সরকারি গুদামে ধানের দাম কম। লোকসান দিয়ে এত ঝামেলা পোহাতে খাদ্যগুদামে কেন ধান দিতে যাব?’
দিনাজপুর জেলা খাদ্য অফিসার সুবির নাথ চৌধুরী জানান, সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ধানের মূল্যের চেয়ে বাজারে ধানের মূল্য বেশি হওয়ায় কৃষকরা খাদ্যগুদামে ধান বিক্রি করছেন না। খাদ্যগুদামে ধান দিতে যে পরিমাণ মায়েশ্চার দরকার কৃষকরা তা করতে চান না, যেহেতু নরমাল ধানেই একই দাম পাচ্ছে। সরকারের উদ্দেশ্য মূলত কৃষক যেন ধানের দাম পায় এবং তারা ভালো দাম পাচ্ছে। চলতি মৌসুমে ফেব্রুয়ারি মাসের ২৮ তারিখ পর্যন্ত ধান চাল সংগ্রহ করা হবে। এই সময়ে লক্ষ্যমাত্রার শতভাগ চাল সংগ্রহ করতে পারব বলে আমরা আশাবাদী।