রবিবার, ১৩ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

ক্ষেতলালে চতুর্থ শ্রেণীর শিক্ষার্থীকে ধর্ষনে ব্যর্থ হয়ে ছাদ থেকে ফেলে দেয়া ধর্ষক আটক

জয়পুরহাট প্রতিনিধি
জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে নির্মাণাধীন দোতলা বাসায় চতুর্থ শ্রেণীর এক শিশু শিক্ষার্থীকে ধর্ষনে ব্যর্থ হয়ে ছাঁদ থেকে ফেলে দিয়েছে এক ৫০ বছরের এক ব্যক্তি। পরে স্থানীয়রা আহত শিশুটিকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। আজ বুধবার সকাল ১১ টায় উপজেলার বিনাই মধ্যপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে আব্দুল কুদ্দুস (৫০) নামে ওই ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। তিনি উপজেলার আতাহার বামন গ্রামের জাকিরের ছেলে।

ভুক্তভোগী শিশু শিক্ষার্থীর বাবা মা ঢাকায় পোশাক কারখানায় চাকুরী করায় সে গ্রামে দাদা দাদীর সঙ্গে থাকতেন। সে স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী বলে জানা যায়।

প্রত্যক্ষদর্শী ও থানা সূত্রে জানা যায়, আব্দুল কুদ্দুস উপজেলার এ এলাকায় দিনমুজরের কাজ করত। কাজ শেষে ঐ গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী কাবিলের নির্মানাধীন দোতলা বাড়িটিতে থাকত।
ঘটনার দিন ভুক্তভোগী শিশু শিক্ষার্থী ওই বাড়ির সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় একা পেয়ে আব্দুল কুদ্দুস মুখ চেপে ছাদের উপরে নিয়ে যান। বিষয়টি ঐ গ্রামের আব্দুল গনির স্ত্রী দেখতে পেয়ে গ্রামের অন্যান্য লোকজনদের খবর দেয়। তারা এসে বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করতে গেলে দরজা ভিতর থেকে বন্ধ থাকায় উৎসুক লোকজন দরজায় লাথি ও চিৎকার করতে থাকে। অবস্থা বেগতিক দেখে আব্দুল কুদ্দুস শিশু শিক্ষার্থীকে দোতলা ছাদের উপর থেকে মাটিতে ফেলে দেয়।
অপর দিকে ৯৯৯ এ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ক্ষেতলাল থানা পুলিশ উপস্থিত হয়। এসময় আব্দুল কুদ্দুস ছাদ থেকে লাফ দিয়ে পালানোর চেষ্টা করলে পুলিশ তাকে আটক করে।
নির্মাণাধীন বাড়ির মালিক মালয়েশিয়া প্রবাসী কাবিলের মুঠোফোন ও হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি প্রবাসে থাকায় গ্রামে বসবাসের জন্য একটি বাড়ি নির্মাণ করছি। সেটি আমার স্ত্রী দেখভাল করে। বাড়িটি এখনো পূর্ণ নির্মাণ করতে পারিনি। স্ত্রীর মারফত জানতে পারলাম আমাদের গ্রামে একজন দিনমজুর কাজ করে আমার বাড়ি ফাঁকা পেয়ে এই দুর্ঘটনা ঘটিয়েছে। অপরাধী যেই হোক আমি তার সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি করছি।
ক্ষেতলাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বীরেন্দ্র সিং জানান, ৯৯৯ এ ফোন পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ঐ ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

Share This