খালি হাতে ফেরা ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সেই সুবিধাভোগীরা পেল ৭০ গরু

নিজস্ব প্রতিবেদক
অনিয়মের অভিযোগে দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে জনগণের তোপের মুখে বিতরণ কার্যক্রম স্থগিত হওয়ার একমাস পর গরু বিতরণ করা হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে উপজেলা প্রাণিসম্পদ ও ভেটেরিনারী হাসপাতাল চত্ত্বরে ৭০জন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সুবিধাভোগীর মাঝে বকনা (বাছুর গরু) বিতরণ করা হয়। এর আগে গত ১০ এপ্রিল গরু বিতরণ কালে শর্তনুযায়ী গরু সরবরাহ না করায় প্রতিবাদের মুখে গরু বিতরণ কার্যক্রম স্থগিত করা হয়। বিষয়টি দৈনিক দেশ মা সহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে ব্যাপক আলোচনা চলে। অবশেষে শর্তপূরণ করে হৃষ্টপুষ্ট বকনা সরবরাহ করে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান জেনটেক ইন্টারন্যাশনাল।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, মেজর শেখ আরমান ইবনে ইদ্রিস, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইসাহাক আলী, প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. সারোয়ার হাসান, ভ্যাটেরিনারী সার্জন সজীব হাওলাদার, থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) একেএম খন্দকার মুহিব্বুল, উপজেলা বিএনপির সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) মাওলানা নবীউল ইসলাম, পৌর বিএনপির সভাপতি আবুল বাশার, সাধারণ সম্পাদক শাহাজুল ইসলাম, পৌর যুবদলের সদস্য সচিব মানিক মন্ডল প্রমুখ।
জানা যায়, গত ১০ এপ্রিল সমতল ভূমিতে বসবাসরত অনগ্রসর ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের আর্থসামাজিক জীবনের মানোন্নয়নের লক্ষ্যে সমন্বিত প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের ৭০ জন সুফলভোগীর মধ্যে এই বিতরণ কার্যক্রমের আয়োজন করা হয়।
এ সময় টেন্ডার অনুযায়ী বকনা সরবরাহ না করায় জনসাধারণের তোপের মুখে পড়েন আয়োজকরা। টেন্ডার অনুযায়ী প্রতিটি গরুর ওজন ১০০ কেজি হওয়ার কথা থাকলেও গড়ে প্রতিটি গরুর ওজন ৬৫-৭০ কেজি পর্যন্ত পাওয়া যায়। টেন্ডার অনুযায়ী গরুর ওজন ও বয়স ঠিক না থাকায় স্থানীয় লোকজনের তোপের মুখে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইসাহাক আলী বিতরণ কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করেন। পরে গরু গুলো ফেরত নিতে বাধ্য হয় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। দৈনিক দেশ মা সহ কয়েকটি পত্রিকায় এই সংবাদ প্রকাশ হলে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা শুরু হয়। অবশেষে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান জেনটেক ইন্টারন্যাশনাল বাধ্য হয় টেন্ডারের শর্তানুযায়ী বকনা সরবরাহ করতে।
জানতে চাইলে ঠিকাদারের প্রতিনিধি কামাল পাশা বলেন, আগের গরুগুলো কেনার সময় ব্যবসায়ীরা ওজনে কম দিয়েছিল। তাই সেগুলো ফেরত দিয়ে নতুন করে গরু নেয়া হয়েছে।
প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. সারোয়ার হাসান বলেন, আগের গরু গুলোর ওজন কম থাকায় অভিযোগের ভিত্তিতে বিতরণ স্থগিত করা হয়েছিল। এবার বিতরণের আগে গরু গুলোর ওজন নির্ণয় করা হয়েছে। সর্বনিম্ন ৯০ থেকে ১২০ কেজি পর্যন্ত গরু বাছাই করা হয়েছে। সাতটি ইউনিয়নের ৭০ জন সুফলভোগীর মধ্যে প্রতিটি গরুর সাথে ১০০কেজি করে সুষম খাদ্য ও ফ্লোর ম্যাট বিতরণ করা হয়েছে। পরবর্তীতে চারটি করে টিন এবং খুঁটি দেয়া হবে।