চিরিরবন্দরে আত্রাই নদীর চরে কুমড়া চাষে লাভবান চাষি

চিরিরবন্দর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
এক সময়ের খরস্রোতা আত্রাই নদীর চরে এখন কুমড়াসহ ধান চাষ হচ্ছে। মনে হবে নদীর চরে কুমড়াবাড়ি। কীটনাশক প্রয়োগ ছাড়াই বাণিজ্যিকভাবে কুমড়া চাষ করে লাভের আশা করছেন চাষিরা।
কুমড়া চাষে সফলতার কারণে চিরিরবন্দর উপজেলার আত্রাই নদীর দো-মুখার ঘাট এলাকার চরটিকে এখন সকলেই কুমড়াবাড়ি বলে ডাকেন। চরের ৪-৫ একর জমি এখন কুমড়াসহ বিভিন্ন ফসলের চাষ হচ্ছে। আত্রাই নদী দিনাজপুরের চিরিরবন্দর ও খানসামা উপজেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এ নদীর দুই পাড়ের চরেই চলছে কুমড়াসহ বিভিন্ন ফসল চাষ। এ নদীতে সদর উপজেলার ফাজিলপুর ইউনিয়নের ঝানজিরা গ্রামের বাঁশগাড়ি সাওতালপাড়ার অধিবাসী তাপস, কাঞ্চন, মিঠুন, মোহন নদীর চরে কুমড়া চাষ করেন এবং নিজেরাই তা বিক্রি করেন। কুমড়া চাষ করেই তারা সচ্ছলভাবে সংসার চালাচ্ছেন। এবছর কুমড়াচাষে তারা ভালো লাভের আশা করছেন।
কৃষকেরা জানান, খরস্রোতা আত্রাই নদীর এ চরে কার্তিক মাস থেকে বৈশাখ মাস পর্যন্ত কুমড়া ভালোভাবে চাষ করা যায়। অল্প পরিচর্যা ছাড়া কোনো প্রকার কীটনাশক ব্যবহার করা হয় না। এতে প্রচুর পরিমাণে জৈব সার ব্যবহার করা হয়েছে। চরের ৪-৫ একর জমিতে বাণিজ্যিকভাবে কুমড়া চাষে অন্তত ২০-২৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এ ক্ষেত থেকে লক্ষাধিক টাকার কুমড়া বিক্রয়ের আশা করছেন তারা। উৎপাদিত কুমড়া দিনাজপুরসহ রাজধানী ঢাকায় পাইকারি বাজারে সরাসরি বিক্রয় করেন। এ মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকেই কুমড়া বিক্রি করতে পারবেন। এ নদীর চরে তরমুজও চাষ করা হয়েছে। তারা আরও জানান, তাদের কৃষি বিষয়ে তেমন কোনো পূর্ব অভিজ্ঞতা ছিল না। তবে তারা ধান চাষ করেন। লাভ বেশি পাওয়ায় তারা কুমড়া চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।