জ্ঞানই একমাত্র শক্তি যা বিতরণ করলে বাড়ে- ডিসি রফিকুল ইসলাম

দিনাজপুর প্রতিনিধি
‘প্রযুক্তির যুগে সাক্ষরতার প্রসার’ এই প্রতিপাদ্য কে সামনে রেখে সারাদেশের ন্যায় দিনাজপুরেও বর্ণাঢ্য র্যালী ও আলোচনা সভার মধ্যদিয়ে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস পালিত হয়েছে।
আজ সোমবার সকালে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ও জেলা উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর সহযোগিতায় দিবসটি পালন করা হয়।
জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে দিবসটির আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য জেলা প্রশাসক মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, শিক্ষা এমন একটি নেয়ামত, যা সকল অন্ধকার দূর করতে পারে। জ্ঞানই একমাত্র শক্তি যা বিতরণ করলে বাড়ে। আর বাকি সব বিতরন করলে কমে। শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার বাইরে দয়া, মায়া, মহানুভবতা ও মানবিকতা শেখাতে হবে। পড়াশোনা অল্প করলেও চর্চা বেশি বেশি করাতে হবে। তিনি বলেন, প্রজ্ঞা এবং মেধার মধ্যে পার্থক্য আছে, আমাদের প্রজ্ঞাবান হতে হবে। শিক্ষা নিয়ে বেশি বেশি কাজ করতে হবে। ছেলে মেয়েদের উত্তম কাজের সুযোগ সৃষ্টি করে দিতে হবে। এক কথায় সাক্ষরতার হার বাড়াতে হলে সকলকে একসাথে কাজ করতে হবে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) এস এম হাবিবুল হাসান এর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন জেলা উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর সহকারী পরিচালক মো. রেজওয়ান আসিফ, জেলা শিক্ষা অফিসার খন্দকার আলাউদ্দিন আল আজাদ, সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আফরোজা জেসমিন, দিনাজপুর জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. আবুল কাশেম, সহকারী শিক্ষক মো. হান্নান মিয়া, চেহেলগাজী স্কুল এন্ড কলেজের প্রভাষক যুথিকা রানী রায় প্রমুখ।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) এস এম হাবিবুল হাসান শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, অতিরিক্ত ডিভাইস ব্যবহার করা মাদক সেবনের মতই ক্ষতিকর। ডিভাইসের ব্যবহার কমিয়ে প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে।
জেলা শিক্ষা অফিসার খন্দকার আলাউদ্দিন আল আজাদ বলেন, বর্তমান প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে টিকে থাকার জন্য কর্মমুখী ও দক্ষতাভিত্তিক শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। দেশে স্বাক্ষরতার হার কমাতে হলে সকলকে একসাথে কাজ করতে হবে।
জেলা উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর সহকারী পরিচালক মো. রেজওয়ান আসিফ বলেন, শিশুদের কান্না থামানোর জন্য মোবাইল হাতে দেওয়া ঠিক নয়। গবেষণায় দেখা গেছে যে সমস্ত বাচ্চারা মোবাইলে কার্টুন দেখে তারা দেরিতে কথা বলতে শেখে। একটি খারাপ অভ্যাস দিনশেষে খারাপের দিকে নিয়ে যায়।
আলোচনা শেষে তাৎক্ষণিক কুইজে অংশগ্রহণ করে বিজয়ী হয় জিলা স্কুলের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র মো. শিহান ও কলেজিয়েট স্কুল এন্ড কলেজের ছাত্রী রাইতা হাসান শাওন।
এর আগে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বর থেকে জেলা প্রশাসক মো. রফিকুল ইসলাম এর নেতৃত্বে একটি বর্ণাঢ্য র্যালী বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পনরায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে গিয়ে শেষ হয়।
বর্ণাঢ্য র্যালী ও আলোচনা সভায় সদর উপজেলা উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা অফিসার মো. গোলাপ হোসেনসহ বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।