তিব্র তাপদাহে হাঁসফাঁস করছে রংপুর চিড়িয়াখানার প্রাণী
রংপুর প্রতিনিধি
তিব্র তাপদাহে মানুষের পাশাপাশি চিড়িয়াখানার প্রাণিগুলোর মধ্যে হাঁসফাঁস অবস্থা উঠেছে। রংপুর বিনোদন উদ্যান চিড়িয়াখানার প্রাণিগুলোও একটু শীতল পরশের জন্য ছটফট করছে। চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ প্রাণীগুলোর শরীর ঠিক রাখতে কি পদক্ষেপ নিয়েছে জানতে সরজমিনে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়।
দর্শনার্থী আতিক বলেন, প্রাণী গুলো দেখে মনে হচ্ছে এদের কেও নেই, তপ্ত রোদে হরিণ গুলো হাঁসফাঁস করছে, যেন দেখার কেউ নেই। গাধার মুখ দিয়ে লালা ঝড়ছে, অন্যান্য প্রাণীর একি অবস্থা মনে হচ্ছে। বাঘের খাঁচার সামনে কথা হয় সিটি বাজারের ব্যবসায়ী বেলাল এর সাথে তিনি বলেন, অসহায় বাঘ দেখে মনে হচ্ছে কতদিন থেকে যেন অনাহারে আছে উল্লেখ করে তিনি রংপুর জেলা প্রশাসক রবিউল ফয়সাল এর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। চিড়িয়াখানা সূত্রে জানা গেছে, রংপুর চিড়িয়াখানায় ৩১ প্রজাতির প্রায় ২৫৪ প্রাণী রয়েছে। চিড়িয়াখানায় যেসব প্রাণি রয়েছে সেগুলো হল সিংহ ২টি, জলহস্তি ৩ টি, ময়ুর ৮টি, হরিণ ৫৯ টি, অজগর সাপ দুটি, ইমু পাখি ৩টি, বানর ৯টি, কেশওয়ারি ১টি, গাধা ৩টি, ঘোড়া ২টি, ভাল্লুক ১টি। দেশে দুটি সরকারি চিড়িয়াখানার মধ্যে রংপুরে একটি। এসব প্রাণিগুলোর মধ্যে নিঃসঙ্গ অবস্থায় রয়েছে ভাল্লুক, হনুমান, কেশওয়ারি। কিছুদিন আগে নিঃসঙ্গ অবস্থায় থাকা উটপাখিটি মারা গেছে। দীর্ঘদিন থেকে কর্তৃপক্ষ সঙ্গীহীন প্রাণিগুলোর সঙ্গী আনার জন্য ঢাকায় আবেদন করলেও তা গ্রাহ্য হয়নি। এছাড়া চিড়িয়াখানার একমাত্র বাঘিনী শাওন বার্ধক্যজনিত কারণে মারা গেছে। বাঘিনীটিও দীর্ঘদিন সঙ্গিহীন অবস্থায় ছিল। রংপুর নগরীর হনুমানতলা এলাকার ৮৯ সালে গড়ে তোলা হয় রংপুর চিড়িয়াখানটি। এটি দর্শনার্থীদের জন্য ৯২ সালে খুলে দেয়া হয়। প্রায় ২১ একর জমির উপর প্রতিষ্ঠিত এই চিড়িয়াখানাটিতে প্রতিদিন কয়েক হাজার দর্শনাথীর সমাগম হয়। প্রচণ্ড গরমে চিড়িড়য়াখানার প্রাণিগুলো অনেকটা নিস্তেজ হয়ে পড়ার উপক্রম হয়েছে। তবে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ বলছে গরমের কারণে চিড়িখানার পশুদের বিশেষ যত্ম নেয়া হচ্ছে। রংপুর চিড়িয়াখানার কর্মকর্তা আম্বর আলী বলেন, অভিযোগ সঠিক নয়, প্রাণিদের ভিটামিন সি ও স্যালাইন খাওয়ানো হচ্ছে। তবে প্রচণ্ড গরমে মানুষের যেমন অস্বস্তি হচ্ছে। তেমনি প্রাণিদের অস্বস্তি হচ্ছে। রংপুর জেলা প্রশাসক রবিউল ফয়সাল বলেছেন, বিষয়টি স্পর্শকাতর তাই এখনি আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি।