দিনাজপুরে ধানের তুষের ছাই থেকে ইট তৈরির সম্ভাব্যতা যাচাই বিষয়ক কর্মশালা

দিনাজপুর প্রতিনিধি
সুইস কন্ট্রাক এর উদ্যোগে দিনাজপুরে রাইস মিল সেক্টরে ধানের তুষের ছাই দিয়ে ইট তৈরীর সম্ভ্যবতা যাচাই ও প্রচার কর্মশালা অনুষ্ঠিত।
আজ রোববার দিনাজপুর শহরের লিলি মোড়ে হোটেল গ্যান্ড নুরে সকাল সাড়ে ১১ এই কর্মশালার শুভ উদ্বোধন ঘোষনা করেন দিনাজপুর চালকল মালিক সমিতি এর সভাপতি মো. মোছাদ্দেক হোসেন পাপ্পু।
কর্মশালার শুরুতেই প্রকল্পের সারসংক্ষেপ ও প্রেক্ষাপট উপস্থাপন করেন খঊউ প্রকল্পের সমন্বয়কারী ইব্রাহিম সাইদ খান।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন গ্রিন বেরি কংক্রিট ব্রিকস অ্যান্ড ব্লকস-এর পক্ষ থেকে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি ও শিল্প প্রকৌশল বিভাগের চেয়ারম্যান প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন সরকার।
কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. মলিন মিয়া। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দিনাজপুর চেম্বার অব কমার্স এর সভাপতি আবু বক্কর সিদ্দীক, দিনাজপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর সিভিল টেকনোলজির চিফ ইন্সট্রাক্টর ও বিভাগীয় প্রধান মো. আরিফুল ইসলাম ।
উন্মুক্ত মত বিনিময়ে এই কর্মশালার দিনাজপুরের কৃষি ও নির্মাণ শিল্পের টেকসই উন্নয়নে একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। স্থানীয় সম্পদ ব্যবহারের মাধ্যমে পরিবেশ-সহনশীল প্রযুক্তির সম্প্রসারণে এই গবেষণাধর্মী উদ্যোগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আয়োজকরা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
কর্মশালায় আলচ্য বিষয় এক বছরে ৫০ লক্ষ বিলিয়ন ছাই তৈরী হয়। একটি মিলে এক দিনে গড়ে ৫০ বস্তা ছাই তৈরী হয়। যা পরিবেশের ক্ষতি করে।
রাইস মিলের ছাই দিয়ে ব্লক ইট তৈরী এবং এর গুনগত মান, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। ইট ভাটায় যেখানে অনেক শ্রমিক কাজ করে। এই ব্লক ইটে মাত্র ১০ জন শ্রমিক দিয়ে এক দিনে ৫ হাজার ইট তৈরী করা সম্ভব। সব কিছু মিলিয়ে এই ইট পরিবেশ বান্ধব ইট। মাটির তৈরী ইটের থেকে খরচ কম।
উক্ত কর্মশালায় দিনাজপুর পৌরসভার প্রকৌশলীগণ, কর্মকর্তাগন, রাইস মিলের প্রতিনিধিগন ও প্রবৃদ্ধি প্রকল্পের দিনাজপুরের এল ই ডি অফিসার মো. তাজমিনুর রহমান তপুসহ দিনাজপুরের ঠিকাদারগন উপস্থিত ছিলেন।