রবিবার, ১৭ই আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

নন্দীগ্রামে আউশে জাগছে আশা

নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধি
উত্তরবঙ্গের শস্যভান্ডার হিসেবে পরিচিত বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলা। জেলার ১২টি উপজেলার মধ্যে ধান উৎপাদনের দিক থেকে নন্দীগ্রাম উপজেলা সব সময় শীর্ষে। এ উপজেলায় উল্লেখযোগ্য জমিতে এবার চাষ হচ্ছে আউশ ধান। আগাম জাতের এ ধানের শীষ দেখা দিয়েছে। এতে আশায় বুক বেঁধেছেন এই এলাকার কৃষকরা।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এবার এ উপজেলায় ২৬শ’ ৩৩হেক্টর জমিতে আউশ ধানের চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। উপজেলার সদর ইউনিয়নের কৈডালা, হাটলাল শহরকুড়িসহ বিভিন্ন মাঠ এখন আউশ ধানের সবুজ শীষের সমারোহ। বোরো ও আমনের মধ্যবর্তী সময়ে তৃতীয় ফসল আউশ ধানের বাম্পার ফলনের আশায় কৃষকদের চোখে-মুখে হাসি ফুটেছে। স্থানীয় কৃষকদের সাথে কথা বললে তারা জানান, আমরা আর কিছুদিন পর আউশ ধান কাটা মাড়াই শুরু করবো। যদি আবহাওয়া ও দাম অনুকূলে থাকে তাহলে আশা করা যাচ্ছে বাম্পার ফলন হবে। তারা আরও জানান, আউশ ধান চাষাবাদের জন্য কৃষি বিভাগ বিনামূল্যে বীজ, সার ও সেচে ভর্তুকিসহ একই জমিতে বছরে তিনটি ফসল উৎপাদনে জন্য পরামর্শ দিয়েছে। বর্তমানে কৃষি অফিসের পরামর্শ অনুযায়ী ব্রি-ধান ৯৮, ৪৮, মিনিকেট, বিনা-২১ চাষাবাদ করা হয়েছে। চাল উৎপাদনের লক্ষমাত্রা রয়েছে ৪ হাজার ৮২৬ মেট্টিকটন। উপজেলা কৃষি অফিসের সহযোগিতা ও পরামর্শে কৃষকরা তিনটি ফসল ফলাচ্ছে।

হাটলাল গ্রামের কৃষক সাইদুর রহমান সেন্টু জানান, আমি ১০ বিঘা জমিতে আউশের চাষাবাদ করেছি, ধানে দুধ দানা ধরেছে। এবার আউশের বাম্পার ফলন হয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা না দিলে এবার আউশের বাম্পার ফলন হবে।

কৈডালা গ্রানের কৃষক মিজানুর রহমান মিনু বলেন, আমাদের এলাকায় বোরো ও আমন দুটি ফসল হতো। বর্তমানে বোরো ও আমনের মধ্যবর্তী সময়ে তৃতীয় ফসল আউশ ধান চাষবাদ লাভজনক হওয়ায় কৃষকরা বছরে তিনটি ফসল চাষের দিকে ঝুঁকে পড়েছে।

উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ গাজীউল হক জানান, এবছর নন্দীগ্রাম উপজেলায় আউশ ধানের ফলন ভালো হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ব্রি-ধান-৯৮, ৪৮, মিনিকেট, বিনা-২১ চাষাবাদের জন্য আমরা কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করেছি এবং করছি। এই ধানে রোগ ও পোকার আক্রমণ তেমন দেখা দেয় না। অন্য জাতের ধানের তুলনায় এর ফলন অনেক বেশি হয়। এ জাতের ধান চাষাবাদ করে কৃষকরা অনেকটা লাভবান হচ্ছে। এ বছরের চেয়ে আগামীতে আউশ চাষাবাদ যাতে বৃদ্ধি পায়, সেজন্য কৃষি বিভাগের লোকজন মাঠ পর্যায়ে প্রতিনিয়ত কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছে।

Share This