নন্দীগ্রামে বোরো ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা

নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধি
উত্তরবঙ্গের শস্যা ভান্ডার হিসেবে খ্যাত বগুড়ার নন্দীগ্রামে এবার বোরো ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। আবহাওয়া ভালো থাকায় ধান ঘরে তোলার অপেক্ষায় নন্দীগ্রামের কৃষক। বর্তমানে ধানের বাজারমূল্যও অনেকটাই ভালো বলে কৃষকও বেশ খুশি। যদিও এ উপজেলায় এখনো পুরোদমে বোরো ধান কাটা-মাড়াইয়ের কাজ শুরু হয়নি।
উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্যমতে- এ উপজেলায় এবছর ১৯ হাজার ৩৯৯ হেক্টর জমিতে বোরো চাষাবাদ হয়েছে। যার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লক্ষ ৬ হাজার ৬৯৪ মেট্রিকটন (ধানে)। প্রতি বিঘা জমিতে ২৫/২৬ মণ হারে ধানের ফলন পাওয়ার আশা করা যাচ্ছে। এবার বোরো মৌসুমে নন্দীগ্রাম উপজেলার কৃষকরা তাদের জমিতে কাটারিভোগ, মিনিকিট, রড মিনিকিট, বিনা-৭, ১৭, ২৫ ব্রি-ধান-৮৮, ৯০, ১০০, ১০১, ১০২, ১০৪, ১০৮ জাতের ধান চাষাবাদ করেছে।
বর্তমানে প্রাকৃতিক দুর্যোগের সম্ভাবনা থাকায় কৃষকরা অগ্রিম ধান কাটা শুরু করে দিয়েছে। পাশাপাশি চলছে ধান মাড়াইয়ের কাজ, শুরু হয়েছে ক্রয়-বিক্রয়ও। বর্তমানে ১৪শ থেকে ১৫শ টাকা মণ দরে ধান ক্রয়-বিক্রয় চলছে। এ বাজারমূল্যে কৃষক খুশি। বোরো ধানের চাষাবাদ অনেকটা ব্যয়বহুল হলেও লাভের পরিমাণও অনেক বেশি। আর এ উপজেলার কৃষকরা বোরো ধানের ওপর সবচেয়ে বেশি নির্ভরশীল। তাই এ উপজেলার কৃষকরা গুরুত্বের সাথে বোরো ধানের চাষাবাদ করে থাকে। এবারো তার কোনো ব্যতিক্রম হয়নি।
গত বছরেও এ উপজেলায় বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছিলো। বোরো ধানকে কৃষকের সোনালী স্বপ্ন বলে গণ্য করা হয়। সেই স্বপ্ন এবারো পূরণ হতে চলেছে। উপজেলার বিভিন্ন মাঠ ঘুরে দেখা যায় বোরো চাষাবাদ খুব সুন্দর হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা গাজিউল হকের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগের সম্ভাবনা থাকলেও বোরো ধান কাটা-মাড়াইয়ের কাজ প্রাথমিকভাবে কিছুটা শুরু হয়েছে। এ উপজেলায় এবার বোরো ধানের বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। যার সুফল পাবে কৃষক। বর্তমান ধানের বাজারমূল্যও অনেক ভালো রয়েছে। তাই সব মিলিয়ে বোরো আবাদ কৃষকের জন্য অনেকটাই সুফল বয়ে আনবে।