নীলফামারী প্রতিনিধি
ঘন কুয়াশার কারণে দৃষ্টিসীমা কম থাকায় নীলফামারীর সৈয়দপুর বিমানবন্দরে আজ রোববার সকাল থেকে ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ রয়েছে। সকাল ৯টা পর্যন্ত কোনো ফ্লাইট সৈয়দপুর বিমানবন্দরে অবতরণ করেনি। এ সময়ের মধ্যে শিডিউল অনুযায়ী সকাল সোয়া ৭টায় অবতরণ করে সোয়া ৮টায় বেসরকারি কোম্পানির ফ্লাইট এয়ার এসট্রা ঢাকার উদ্দেশ্যে উড্ডয়ন করত। ফলে ওই ফ্লাইটের ঢাকাগামী অর্ধ শতাধিক যাত্রী সৈয়দপুর বিমানবন্দরে আটকা পড়েছে। তবে কোনো ফ্লাইট বাতিলের আশঙ্কা নেই বলে জানিয়েছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।
এদিকে শনিবার রাত সাড়ে ১০টা থেকে ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ে উত্তরের জেলা নীলফামারী। এতে দৃষ্টিসীমা কম থাকায় মহাসড়কে ধীরগতিতে যানবাহন চলাচল করেছে। ফলে দূরপাল্লার কোচ ও ট্রাকগুলো নির্দিষ্ট সময়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারেনি।
সৈয়দপুর বিমানবন্দরের আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ লোকমান হোসেন বলেন, ‘মধ্যরাত থেকে ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়েছে বিমানবন্দর এলাকা। সকাল ৯টায় সৈয়দপুর বিমানবন্দরের রানওয়েতে দৃষ্টিসীমা ছিল মাত্র ৫০ মিটার। ফলে সাময়িক ভাবে ফ্লাইট উঠানামা বন্ধ রয়েছে। ঘন কুয়াশা কেটে গিয়ে প্রয়োজনীয় দৃষ্টিসীমার আওতায় এলে স্বাভাবিক হবে ফ্লাইট চলাচল।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ অঞ্চলের তাপমাত্রা বেড়েছে। আজ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৪ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা গতকাল ছিল ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অপরদিকে বাতাসের বেগ না থাকায় ঘন কুয়াশা কেটে যেতে দুপুর ১২টা পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।’
সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বিমানবন্দরে কথা হয় বেসরকারি বিমানের ঢাকাগামী যাত্রী আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে। নীলফামারী শহরের এই ব্যবসায়ী বলেন, ‘সকাল ৭টা থেকে বিমানবন্দরে অবস্থান করছি। ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল বন্ধ থাকায় সময়মতো ঢাকায় যেতে পারছি না। ঢাকায় ব্যবসায়িক কাজ শেষে সন্ধ্যার ফ্লাইটে ফেরত আসার টিকিট করা রয়েছে। দুইদিন আগে টিকিট করা হয়েছিল এবং গতকালই এত কুয়াশা ছিল না। তাই টিকিট বাতিল করিনি।’
সৈয়দপুর বিমানবন্দর ব্যবস্থাপক একেএম বাহাউদ্দিন জাকারিয়া বলেন, ‘এখনো কোনো ফ্লাইট বাতিল করা হয়নি। ঘন কুয়াশা কেটে ফ্লাইট চলাচলের জন্য প্রয়োজনীয় দৃষ্টিসীমা হলে বিমান চলাচল স্বাভাবিক হবে।’
ঢাকা থেকে উত্তরাঞ্চলে ছেড়ে আসা নাবিল পরিবহনের চালক আব্দুল মজিদ জানান, সকাল ৭টায় নীলফামারীতে পৌঁছানোর কথা ছিল তাঁর। কিন্তু ঘন কুয়াশার কারণে গাড়ি কম গতিতে চালাতে হয়েছে। এতে দেড় ঘণ্টা বিলম্ব হয়েছে গন্তব্যে পৌঁছাতে।
এদিকে তীব্র শীতের কারণে অভাবী ও ছিন্নমূল মানুষেরা ভোগান্তিতে পড়েছে। সরকারি ও বেসরকারিভাবে এখনো কম্বল ও শীতবস্ত্র বিতরণ শুরু হয়নি। বিশেষ করে জেলার ডিমলা ও জলঢাকা উপজেলার তিস্তা নদী অববাহিকার লোকজন বেশি কষ্ট পাচ্ছেন।