পঞ্চগড় প্রতিনিধি
পঞ্চগড়ে আলুর প্রক্রিয়াজাতকরণ, সংরক্ষণ এবং উদ্যোক্তা উন্নয়নে প্রশিক্ষণ, যন্ত্রপাতি বিতরণ ও রকমারি আলুজাত খাবারের প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সোমবার দুপুরে কৃষি বিপণন কর্মকর্তার কার্যালয়ের আয়োজনে এবং কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের 'আলুর বহুমুখী ব্যবহার ও সংরক্ষণ, বিপণন উন্নয়ন প্রকল্প'-এর আওতায় এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচি বাস্তবায়িত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক নাসির উদ দৌলা। আরও উপস্থিত ছিলেন প্রকল্পের পরিচালক আনোয়ারুল হক, শস্য গুদাম আধুনিকীকরণ ও ডিজিটালাইজেশন প্রকল্পের পরিচালক ড. ফাতেমা ওয়াদুদ, রংপুর বিভাগীয় উপপরিচালক এন এম আলমগীর বাদশা এবং জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা মুআল্লেমা খানম।
প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারীদের মাঝে আলু প্রক্রিয়াজাতের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি বিতরণ করা হয় এবং প্রদর্শনীতে পটেটো স্মাইলি, আলুর রোল, ৪ টি ভিন্ন প্রকার এর ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, আলুর মিস্ত্রি, আলু পায়েস,আলু শাহী কাবাব,আলু কাটলেট সহ আরো বিভিন্ন মুখরোচক খাবারের প্রদর্শনী হয়।
বক্তারা বলেন, আলু শুধু তরকারির উপকরণ নয়—একটি সম্ভাবনাময় খাদ্যপণ্য, যার মাধ্যমে উদ্যোক্তা তৈরির সুযোগ রয়েছে। নতুন উদ্যোক্তাদের স্বাবলম্বী করতে জেলা পর্যায়ে এরকম প্রশিক্ষণ কার্যক্রম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
এছাড়া জেলার সদর উপজেলার হাড়িভাসা ইউনিয়নের পাপিয়াপাড়া এলাকায় আলুসংরক্ষণোত্তর ব্যবস্থাপনা ও বিপণন কৌশল বিষয়ক কর্মশালাও অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে বক্তারা বলেন, পঞ্চগড় জেলায় উৎপাদিত আলুর একটি বড় অংশ হিমাগারে রাখা যায় না, ফলে প্রতি বছর বিপুল পরিমাণ আলু নষ্ট হয়। মডেল ঘরে আলু সংরক্ষণ করলে খরচ কমে, লাভ বাড়ে। একইসঙ্গে পেয়াজ, রসুন, মিষ্টি কুমড়া ও বাদাম সংরক্ষণের সুযোগও থাকে।
এই প্রশিক্ষণ ও প্রদর্শনীর মাধ্যমে একদিকে যেমন আলুর ব্যবহার বহুমুখীভাবে সম্প্রসারিত হবে, অন্যদিকে উদ্যোক্তা তৈরিতে তৈরি হবে নতুন দিগন্ত। কৃষি পণ্য প্রক্রিয়াজাত ও সংরক্ষণে প্রযুক্তির ব্যবহার কৃষকদের জন্য নতুন আশার আলো দেখাবে বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।