সোমবার, ১৪ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

পঞ্চগড়ে জনপ্রিয় হচ্ছে সুপারি চাষ

পঞ্চগড় প্রতিনিধি
পঞ্চগড়ের মাটি ও আবহাওয়া সুপারি চাষের উপযোগী হওয়ায় এবং কম পরিশ্রমে লাভ বেশি হওয়ায় এ জেলায় সুপারি চাষের পরিধি দিন দিন বাড়ছে। এখানকার সুপারি খেতে সুস্বাদু ও সাইজে বড় । তাই সারা দেশে এই সুপারির চাহিদা রয়েছে।

পঞ্চগড়ের টুনিরহাট, চাকলা, জালাসী, ঝলইহাট, জগদল, ফকিরগঞ্জ, ময়দান দিঘী, বোদা বাজারসহ বিভিন্ন বাজারে সপ্তাহে দুই দিন সুপারি কেনাবেচা হয়।
আমতলা গ্রামের সুপারি চাষী রেজা বলেন,আমার এক বিঘার সুপারি বাগান রয়েছে। এবার সুপারির ফলন ভালো। দামও ভালো।
বড়বাড়ি এলাকার নুরু বলেন, আগে ৩ বিঘার বাগানে ৫-৬ লাখ টাকার সুপারি বিক্রি করতাম। বাগানের অনেক গাছ মরে গেছে। এর মধ্যে ৮-১০ হাজার টাকার সুপারি বিক্রি করেছি। আশা করছি, এবার ৩ বিঘার (৩৩ শতকে ১বিঘা) বাগানে ৬০-৭০ হাজার টাকার সুপারি বিক্রি করতে পারব।
পঞ্চগড়ের চাকলাহাটে সরেজমিনে গেলে দেখা যায়, প্রচুর সুপারি কেনাবেচা হচ্ছে। বিভিন্ন জায়গা থেকে ব্যবসায়ীরা হাটে এসেছেন সুপারি কিনতে। তারা সুপারি কিনে ট্রাকে করে দেশের বিভিন্ন জেলায় নিয়ে যাবেন।
সুপারি ব্যবসায়ী ওবায়দুল ইসলাম লালমনিরহাট জেলা থেকে পঞ্চগড়ের চাকলাহাটে এসেছেন সুপারি কিনতে। তিনি বলেন, আমি সুপারি কিনে সিলেটে নিয়ে যাব। ছোট সুপারি ৫ হাজার টাকা থেকে ৭ হাজার ৫০০ টাকা পর্যন্ত কাহন কিনলাম। বড় সুপারি কিনেছি ৭ হাজার থেকে ৭ হাজার ৫০০টাকা কাহন (১৬ পণে ১কাহন) ।
পঞ্চগড়ের সুপারি ব্যবসায়ী হাসান বলেন, ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা পণ দরে সুপারি কিনেছি। আমি সুপারি কিনে বগুড়া, ঢাকা নারায়ণগঞ্জ, ময়মনসিংহ, সিলেট, হবিগঞ্জ, নোয়াখালী, লক্ষীপুর সহ দেশের বিভিন্ন জেলায় পাঠাই। এতে খরচ বাদে ভালই লাভ হয়।
পঞ্চগড় জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপসহকারী কৃষি অফিসার মো. সাজেদুর রহমান সাজু বলেন,২০২৩-২৪ অর্থ বছরে ৬৫২ হেক্টর জমিতে সুপারির চাষ হয়েছে। সুপারির উৎপাদন হয়েছে ১৫ হাজার ৯২৫ মেট্রিক টন। বাণিজ্যিকভাবে বাগান করা ছাড়াও বসতবাড়ির আশপাশ, জমির আইল ও চা বাগানে সুপারি চাষ করা যায়। চারা রোপণের ৫ থেকে ৬ বছর পর সুপারি গাছে ফল আসতে শুরু করে। চৈত্র, বৈশাখ ও জ্যৈষ্ঠ মাস হলো সুপারি সংগ্রহের মৌসুম।

Share This