রবিবার, ৫ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

পঞ্চগড় আদালতে কর্মচারী নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

পঞ্চগড়প্রতিনিধি
পঞ্চগড় জেলা জজ আদালতে ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগে অনিয়মের বিরুদ্ধে পঞ্চগড় জেলা জজ আদালতে রনিয়োগ কমিটি সংবাদ সম্মেলন করেছে। যাবতীয় নিয়ম মেনে পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত ছিল দাবী আদালত কর্তৃপক্ষের।
আজ সোমবার সকাল ১১টায় পঞ্চগড় জেলা জজ আদালতের হলরুমে অনুষ্ঠিত প্রেসব্রিফিং এ জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার (সিনিয়র সহকারি জজ) ও সদস্য, নিয়োগ সংক্রান্ত বাছাই কমিটি, পঞ্চগড় চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, পঞ্চগড়, লিমেন্টরায় স্বাক্ষরিত প্রেসরিলিজ পাঠ করেন নাজির মো. সাইফুল ইসলাম। গত ২০ডিসেম্বর মকবুলার রহমান সরকারি কলেজ, পঞ্চগড়ে অনুষ্ঠিত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত পঞ্চগড় এর ৩য় ও ৪র্থ শ্রেনির কর্মচারী নিয়োগের লক্ষে দুই দিন ব্যাপী নিয়োগ পরীক্ষার ১ম দিনের সকাল ১০ ঘটিকার পরীক্ষা চলাকালীন কিছু অপ্রীতিকর ঘটনার বিষয়ে জানতে পারেন। কিন্তু ঘটনাটি একতরফা ভাবে একাধিক মিডিয়ায় যেভাবে প্রকাশিত হয়েছে তা বাস্তব ঘটনার সংগে বিস্তর পার্থক্য রয়েছে। ওই পরীক্ষা গ্রহণের জন্য জেলা জজ আদালতের পক্ষ থেকে গত ১৫ডিসেম্বর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও নিয়োগ কমিটির সদস্য সচিব, মো. আশরাফুজ্জামান সরেজমিন কলেজে উপস্থিত হয়ে অধ্যক্ষের সংগে বিস্তারিত আলোচনা করে কলেজের একাডেমিক কাম এক্সামিনেশন ভবন ও একাডেমিক পুরাতন ভবন (কলা) এই দুটি বিল্ডিং-এ পরীক্ষা কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহারের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এছাড়া উক্ত কলেজের অধ্যক্ষ কর্তৃক নিধারিত দুই জন শিক্ষক ও কর্মচারী এর দেয়া তথ্য মোতাবেক পরীক্ষা কেন্দ্রের প্রতিটি কক্ষে বেঞ্চ পুনঃর্বিন্যাস করা হয়। সেই মোতাবেক ওই তারিখে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু ৫ম তলাবিল্ডিং এর ৫০৪ ও ৫০৫ কক্ষ দু’টি তালা-বদ্ধ থাকায় চাকুরী প্রত্যাশী পরীক্ষার্থীরা বাহিরে অপেক্ষামান থাকে। বিষয়টি জেলা জজ আদালতের নিয়োগ কমিটি জানার পর তাৎক্ষনিক ওই কলেজের অধ্যক্ষকে জানালে, তিনি বলেন কক্ষ দুটির চাবি যার কাছে আছে সে ছুটিতে আছে। এসময় কলেজের অধ্যক্ষ কক্ষ দুটির তালা হাতুড়ি দিয়ে ভেঙ্গে ফেলার কথা বললে, কলেজের কোনো স্টাফ সহযোগিতা করেনি। ইতোমধ্যে অন্যান্য কক্ষে পরীক্ষা শুরু হলে তা দেখে তালাবদ্ধ ২টি কক্ষের চাকুরি প্রত্যাশী পরীক্ষার্থীরা হট্টগোল শুরু করে এবং কলেজের মাঠে নেমে আসে।
পরবর্তীতে আমরা সেই দুটি কক্ষের চাকুরি প্রত্যাশী প্রার্থীদের অন্য কক্ষে পরীক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থা করলেও পরীক্ষার্থী নয় এমন কিছু ছেলে প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগে বিশৃঙ্খলা করতে থাকে। এ অবস্থায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে না থাকায় আমাদের সিজেএম স্যার নিয়োগ কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে পরীক্ষার সকল কার্যক্রম স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেন এবং অল্প কিছুক্ষণের মধ্যে সেই বিজ্ঞপ্তি অফিসের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়। এছাড়া কেন সেদিন ওই কক্ষ দুটি তালাবদ্ধ ছিল; সেই বিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষের কাছে লিখিত ভাবে জানতে চাওয়া হয় এবং ওই দিনের পরীক্ষা বাতিল করা হয়। মূলত: নিয়োগ কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী যাবতীয় নিয়ম মেনেই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছিল বলে দাবী আদালত কর্তৃপক্ষের।

Share This