জয়পুরহাট প্রতিনিধি
খিরার বীজ সংকটে বিপাকে পড়েছে জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার বাগজানা, ধরঞ্জী ও আয়মারসুলপুর ইউনিয়নের কৃষকেরা। চলতি মৌসুমে কৃষকেরা আমন ধান কাটার পর জমিতে আলু রোপনের পাশাপাশি সাথী ফসল হিসাবে খিরার চাষাবাদ করে। কিন্তু আলু লাগানোর পর খিরা রোপণ করার জন্য বীজ ভান্ডার গুলোতে বীজ সংগ্রহ করতে গিয়ে বীজ না পেয়ে বিপাকে পড়েছেন তারা। বীজ সংকট আর অস্বাভাবিক মূল্যের কারনে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তারা।
উপজেলার ধরঞ্জী ইউনিয়নের ধরঞ্জী গ্রামের কৃষক আব্দুর রশিদ জানান, প্রতিবছর দুই বিঘা জমিতে আলু লাগানোর পাশাপাশি সাথী ফসল হিসাবে ঐ জমিতে খিরা চাষাবাদ করেন। এবারও খিরা লাগানোর জন্য লাইন (ডারা) বাদ দিয়ে আলু রোপণ করেছেন। কিন্তু বীজ সংগ্রহ করতে না পারায় এখনও খিরা রোপণ করতে পারেন নি। তিনি বলেন, গত সপ্তাহে যে বীজ ২ হাজার থেকে তিন হাজার টাকা কেজি বিক্রি হয়েছে সেই বীজই এখন ৬ হাজার থেকে ৮ হাজার টাকা। তারপরও বীজ মেলানো যাচ্ছে না।
একই গ্রামের কৃষক কমিন হোসেন বলেন, বিরামপুর, কাটলা ও ধামুইরহাট ঘুরেও বীজ পাওয়া যাচ্ছে না। বীজের এরকম সংকট হবে আগে জানতে পারলে আলুই লাগাতাম, খিরা লাগাতাম না।
শ্রীমন্তপুর গ্রামের কৃষক বকুল হোসেন বলেন, বীজ ভান্ডারে ঘুরে ঘুরে বীজ না পেয়ে বাড়িতে রাখা গত বারের রাখা বীজ রোপণ করেছি। ফলন কেমন হবে জানি না।
স্থানীয় বীজ ব্যবসায়ী আনছার আলী বলেন, মোকামেই বীজ পাওয়া যাচ্ছে না। আমরা না পেলে কৃষকের নিকট বিক্রি করবো কি?
জয়পুরহাট মুক্তি সীডসের স্বত্বাধিকারী মোনোয়ার হোসেন বলেন, প্রতিবছর পর্যাপ্ত পরিমাণ বীজের সাপ্লাই ছিলো। এবার অনেকটা কম। হাইব্রিড জাতের বিভিন্ন কোম্পানীর বীজ সংগ্রহ করে আনা হলেও দাম অনেক বেশি। তাছাড়া হাইব্রিড বীজ থেকে দেশীয় বীজের চাহিদা অনেক বেশি।