সোমবার, ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

পাঁচবিবিতে বেড়েছে পতাকা বিক্রি

বেশির ভাগ ক্রেতা ছাত্র-তরুণরা

জয়পুরহাট প্রতিনিধি
হেমায়েত মাতবর। ফরিদপুর জেলার নগরকান্দা উপজেলার শ্রীবরদি গ্রামের ছায়েম মাতবরের ছেলে তিনি। মৌসুমী পতাকা বিক্রেতা হিসাবে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে লাল সবুজের পতাকা বিক্রি করার জন্য প্রতিবছরের মত এবারও জয়পুরহাটে পাঁচবিবিতে এসেছেন।
এ মাসের ১৫ তারিখ পর্যন্ত বিভিন্ন হাট বাজার ও জন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ফেরি করে পতাকা বিক্রি করবেন তিনি । আজ মঙ্গলবার দুপুরে পাঁচবিবি থানা রোডে দেখা হলে কথা হয় এ প্রতিবেদকের সাথে। তিনি বলেন, সে পেশায় একজন কৃষক। সারা বছর সংসারের কাজকর্ম করলেও এই সময়টাতে বাড়তি আয়ের আশায় বিজয় দিবসের পতাকা, মাথায় এবং হাতে বাঁধার ব্যাচ ও বিজয় দিবসের অন্যান্য সামগ্রী  বিক্রি করেন। ভালই বিক্রি হয়। মাত্র ১৫ দিনের এই ব্যবসা। তবে অন্যান্য বারের তুলনায় এবার মোটরসাইকেল, যানবাহনে বাঁধানো ছোট পতাকা ও জাতীয় পতাকা সম্বলিত মাথায় বাঁধা ব্যাচ বেশি বিক্রি হচ্ছে। কারণ হিসাবে তিনি বলেন, গত ৫ আগস্টে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের ভূমিকা পালনকারী ছাত্র যুবকরাই এসব বেশি কিনছেন। একারণে এ গুলো ভালই বিক্রি হচ্ছে। প্রতিদিন সে বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার থেকে ২৫শ টাকা পর্যন্ত। এই ১৫ দিনে পতাকা বিক্রি থেকে আয় হবে প্রায় ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা। বিজয়ের মাসে পতাকা কাঁধে নিয়ে ঘুরে ঘুরে বিক্রি করতে ভালোই লাগে তার।
তিনি জানান, ৬ ফুটের একটি পতাকা বিক্রি করছেন ১শ ৫০ টাকা থেকে ১শ ৭০ টাকা, ৫ ফুট ১শ টাকা থেকে ১শ ২০ টাকা, সাড়ে ৩ ফুট ৮০ থেকে ১শ টাকা, আড়াই ফুট ৫০থেকে ৭০ টাকা, দেড় ফুট ৩০ টাকা আর ১ ফুট ২০ টাকা এবং ফিতা আর ব্যান্ড বিক্রি করছেন ১০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত।
সারা বছর এদের দেখা না মিললেও হেমায়েত মাতবরের মত বিজয়ের মাসে শহর থেকে গ্রামে হাট বাজারে দেখা মেলে ৮/১০ফুট লম্বা বাঁশে বেঁধে বিক্রি করা এসব মৌসুমী পতাকা বিক্রেতাদের। রয়েছে নানা আকারের পতাকা এবং পতাকার লোগো সংবলিত মাথা ও হাতে বাঁধার ব্যান্ড। পতাকার মধ্যে বর্তমান লাল-সবুজ জাতীয় পতাকা যেমন রয়েছে, তেমনি রয়েছে মুক্তিযুদ্ধকালীন লাল-সবুজের মাঝে হলুদ মানচিত্র আঁকা পতাকা ও ব্যাচ।
স্থানীয়রা বলেছেন, বিজয়ের মাসে অনেকেই বাড়ির ছাদে, ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানের সামনে এমনকি গাড়িতেও জাতীয় পতাকা ওড়ান। এর ফলে বিজয়ের মাস এলেই জাতীয় পতাকার চাহিদা বেড়ে যায়। অনেক মানুষ দর্জির দোকানে গিয়ে পতাকা বানানোর চেয়ে ফেরিওয়ালার কাছে সহজেই কিনছেন তাদের চাহিদা মত পতাকা সহ অন্যান্য জিনিস। এই সুযোগে মৌসুমী ব্যবসায়ীরা হাট-বাজারে ঘুরে ঘুরে জাতীয় পতাকা বিক্রি করছেন। শুধু পতাকা নয়, হাতে ও মাথায় বাঁধার মতো লাল-সবুজ ব্যাচও বিক্রি করছে। আর ১৬ ডিসেম্বরে লাল-সবুজ পতাকা হাতে দেখা মেলে অসংখ্য শিশু- কিশোরদের। তবে অনেকে মন্তব্য করেন যে জাতীয় পতাকা গুলো সঠিক মাপ অনুযায়ী তৈরি করা হয় না।

Share This