দিনাজপুর প্রতিনিধি
মরহুম প্রফেসর এম. এ জব্বার শুধু একজন ব্যাক্তি ছিলেন না, তিনি ছিলেন একটি প্রতিষ্ঠান। নানা প্রতিষ্ঠানেই রয়েছে তাঁর হাতের ছোঁয়া। শিক্ষা সংক্রান্ত কাজে তিনি সব সময় এগিয়ে থাকতেন। শিক্ষায় তিনি সবাইকে সহযোগিতা দিতেন। অনেক বড় মাপের মানুষ হলেও অতি সাধারন জীবন-যাপন করতেন। অত্যন্ত সাধারণ জীবনের অধিকারী এই শিক্ষক সব সময় সত্য কথা বলতেন। ইসলাম ধর্মের পরিপূর্ণ অনুসারী একজন মানুষ হলেও তিনি কখনো কোনো ধর্মকে কটাক্ষ করেননি। উদার প্রকৃতির এমন মানুষ বর্তমানে বিরল। আমাদেরকে তাঁর মতো জীবন গঠন করে সমাজের পরিচ্ছন্ন মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে হবে।
দিনাজপুর সরকারি মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ও লাবীব মডেল স্কুলের উপদেষ্টা প্রফেসর এম. এ জব্বারের ইন্তেকালে আজ বুধবার স্কুল ক্যাম্পাসে আয়োজিত স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিলে বক্তারা উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। লাবীব মডেল স্কুলের চেয়ারম্যান এইচ এম মো. শহীদুল্লাহ’র সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন দিনাজপুর জেলা ক্রীড়া সংস্থার নির্বাহী কমিটির সদস্য ও দৈনিক মানবজমিনের দিনাজপুর জেলা প্রতিনিধি মো. কামারুজ্জামান। বিশেষ অতিথি ছিলেন, ফরক্কাবাদ এন.আই উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজের সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. কায়সার আলীএবং দিনাজপুর চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক ও জেলা বিএনপির সহ-প্রচার সম্পাদক সাবেক ছাত্রনেতা মঞ্জুর মোর্শেদ সুমন। লাবীব মডেল স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক ফারাহ দীবা’র প্রাণবন্ত সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন প্রধান শিক্ষক লতিফা খাতুন, সমাজসেবী মঞ্জুর আলম চৌধুরীসহ অন্যান্য শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ। শেষে মরহুম এম. এ জব্বারের রুহের মাগফিরাত কামনায় বিশেষ মুনাজাত করা হয়। মুনাজাত পরিচালনা করেন ঘাসিপাড়া ডাবগাছ জামে মসজিদের মাওলানা হাফেজ মনির হোসেন।
উল্লেখ্য,বীর মুক্তিযোদ্ধা বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ প্রফেসর এম. এ জব্বার ১৬ আগষ্ট’২৫ শনিবার ইন্তেকাল করেন। গতকাল রোববার দুপুর ২টায় দিনাজপুর ইন্সটিটিউট মাঠে প্রথম নামাজে জানাযা ও বিকাল ৪টায় মরহুমের গ্রামের বাড়ি বিরল উপজেলার সাবইল গ্রামে দ্বিতীয় জানাযা শেষে পারিবারিক গোরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়। ইন্সটিটিউট মাঠে জানাযা নামাজের পূর্বে বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে রাষ্ট্রীয় সম্মাননা গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়।