প্রবীণ বিএনপি কর্মীর পাশে পাঁচবিবি উপজেলা যুবদল

জয়পুরহাট প্রতিনিধি
জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার সীমান্তবর্তী ধরঞ্জীর পূর্ব উচনা গ্রামের মৃত দেছের শেখের ছেলে মো. জাহিদুল হোসেন (৬৮) একজন বিএনপির একনিষ্ট কর্মী। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শে বিশ্বাসী জাহিদুলের দিন কাটে অভাব অনটনে। স্ত্রী সাজেদা বিবি (৬৩) সহ বাড়ির সামনে পাঁপড় পিঁয়াজু ও শীতকালে ভাপা পিঠা বিক্রয় করে কোন রকমভাবে সংসার চলে তার। সুবিধা বঞ্চিত সেই জাহিদুলের পাশে দাঁড়িয়েছে পাঁচবিবি উপজেলা যুবদল।
জানা যায়, জাহিদুল হোসেনের নিজের কোন জমি জমা নেই। কিন্তু শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা ভালোবাসার কমতি নেই তার। কারন প্রেসিডেন্ট জিয়ার সাথে খাল কেটেছে এবং গম পেয়েছেন তিনি। খুব কাছ থেকে দেখেছেন জিয়াউর রহমানকে। সেই থেকেই জাহিদুল হয়ে যায় জিয়ার আদর্শের একজন সৈনিক। শত অভাব অনটন সত্ত্বেও তিনি বিএনপির সব অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন করেন । জাহিদুলের এত অভাবের মধ্যেও নিজ খরচে আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যুর পর চল্লিশা ও জুলাই আন্দোলনে শহীদ হওয়া ছাত্রদের জন্য মিলাদ করেন।
জিয়ার আদর্শের এ সৈনিক ও তার স্ত্রীর বয়স হলেও মেম্বার চেয়ারম্যানের ধরনা দিয়েও মিলেনি বয়স্ক ভাতার কার্ড এমন একটি পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়। আজীবন বিএনপি করে কি পেলাম পোস্টটি জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন বিএনপির নেতৃবৃন্দের দৃষ্টিতে আসলে তৎক্ষণাৎ জেলা ও উপজেলার শীর্ষ নেতৃবৃন্দ উপজেলা যুবদলকে অসহায় বিএনপি কর্মী জাহিদুলের পরিবারের পাশে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিতে নির্দেশ দেয়।
জেলা ও উপজেলা নেতৃবৃন্দের নির্দেশ পেয়ে অসহায় বিএনপি কর্মী জাহিদুলের পরিবারের পাশে দাঁড়ায় উপজেলা যুবদল। শুক্রবার বিকালে জাহিদুলের বাড়িতে উপস্থিত হয় উপজেলা যুবদলের নেতৃবৃন্দ। এসময় বিএনপি কর্মী জাহিদুলের পরিবারের জন্য নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী তার হাতে তুলে দেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ম-আহ্বায়ক মো. আনিছুর রহমান আনিছ, সাবেক জেলা যুবদল সদস্য মো. নয়ন প্রধান, মো. মাহমুদ হোসেন মামুন, উপজেলা যুবদল নেতা মো. মিজানুর রহমান মিজান, মো. রাজ হোসেন, মো. রহিদুল ইসলাম, সাবেক পৌর যুবদল নেতা আবু সাঈদ, মো. মেহেদী হাসান, কুসুম্বা ইউনিয়ন যুবদল নেতা মো. রাকিব হোসেন ও বাগজানা ইউনিয়ন যুবদল নেতা মো. সাদ্দাম হোসেন ও আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
উপহার হাতে পেয়ে আবেগ আপ্লুত জাহিদুল হোসেন জানান, আমার অন্তরে আছে শহীদ জিয়ার প্রতি অগাধ ভালোবাসা। তার আদর্শ লালন করি বলেই দীর্ঘদিন বঞ্চিত হয়েছি। অসহায় হয়েও সরকারি কোন সুযোগ সুবিধা পাইনি। দলও এতদিন পাশে দাঁড়ায়নি। তবে দেরিতে হলেও দলের প্রতিনিধি আমার উঠান পর্যন্ত এসেছেন এতেই আমি খুশি।