নিজেস্ব প্রতিবেদক
চতুর্থ ও শেষ ধাপে দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে একজন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে একজন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে একজন প্রতিদ্বন্দিতাকারী প্রার্থী জামানত হারিয়েছেন।
গত ৫ জুন চতুর্থ ধাপে অনুষ্ঠিত ফুলবাড়ী উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে তিনজন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে চারজন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজনসহ মোট ১০ জন প্রার্থী প্রতিদ¦দ্বিতা করেছেন। এদের মধ্যে এ তিনজন প্রার্থী জামানত হারিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নির্বাচনের রিটানিং অফিসার ও দিনাজপুর সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা কামরুল হাসান।
নির্বাচনের ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, চেয়ারম্যান পদে প্রাপ্ত বৈধ ভোটের সংখ্যা ৮৮ হাজার ৯৩২ ভোট, বাতিলকৃত ভোটের সংখ্যা ১ হাজার ৮৪৪ ভোট। এ পদে মোট সংগ্রহ হয়েছে ৯০ হাজার ৭৭৬ ভোট। জামানত ফিরে পেতে প্রাপ্ত ভোটের ১৫ শতাংশ ভোট হিসেবে প্রয়োজন ১৩ হাজার ৬১৬ ভোট। সেখানে চেয়ারম্যান প্রার্থী রফিকুল ইসলাম মন্টু আনারস মার্কা প্রতিকে মাত্র ২০৬ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন।
একইভাবে ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রাপ্ত বৈধ ভোটরে সংখ্যা ৮৬ হাজার ৮৮০ ভোট। বাতিলকৃত ভোটের সংখ্যা ৩হাজার ৮৫ ভোট। এ পদে মোট সংগ্রহ হয়েছে ৯০ হাজার ৭৩৫ ভোট । জামানত ফিরে পেতে শতকরা ১৫ ভাগ হারে ১৩ হাজার ৬১০ ভোটের প্রয়োজন। সেখানে সোলায়মান সরকার টিবওয়েল প্রতিকে ১৩ হাজার ৪৯৮ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন।
এছাড়া মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রাপ্ত বৈধ ভোটরে সংখ্যা ৮৫হাজার ৩২৭ ভোট। বাতিলকৃত ভোটের সংখ্যা ৫হাজার ৩৯৪ ভোট। এ পদে মোট সংগ্রহ হয়েছে ৯০ হাজার ৭২১ জন ভোট। জামানত ফিরে পেতে শতকরা ১৫ ভাগ হারে ১৩ হাজার ৬০৮ ভোটের প্রয়োজন। সেখানে হাজরা বিবি হাস প্রতিকে ১২ হাজার ১২১ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন।
উপজেলা নির্বাচনী বিধি অনুযায়ী, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদের জন্য একজন প্রার্থীকে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অনুকূলে ১ লাখ টাকা জমা দিতে হয়। ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদের জন্য দিতে হয় ৭৫ হাজার টাকা। নির্বাচনে একটি পদের প্রদত্ত ভোটের ১৫ শতাংশ ভোট যদি কোনো প্রার্থী না পায়, তাহলে বিধি অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অনুকূলে রাখা জামানতের টাকা বাজেয়াপ্ত হবে। এ এতে করে নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া অর্থ খোয়াতে হচ্ছে এই তিন প্রার্থীকে।
জানাগেছে, ফুলবাড়ী উপজেলায় মোট এক লাখ ৫২ হাজার ৪৭৬জন ভোটার। এর মধ্যে মহিলা ভোটার ৭৬ হাজার ২০৪ জন ও পুরুষ ভোটার ৭৬ হাজার ২৭১ জন তৃতীয় লিঙ্গের একজন। এ উপজেলায় শতকরা ৫৯ দশমিক ৫৩ভাগ ভোট সংগ্রহ হয়েছে।