ফুলবাড়ী গোলাম মোস্তফা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি ১৯৯৫ ব্যাচের পুনর্মিলনী
নিজস্ব প্রতিবেদক
‘এসো মিলি প্রাণের স্পন্দনে’ স্লোগান সামনে রেখে অনুষ্ঠিত হয়েছে দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ফুলবাড়ী গোলাম মোস্তফা (জিএম) পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়েরর ১৯৯৫ সালের এসএসসি ব্যাচের পুনর্মিলনী। শুক্রবার দিনব্যাপী বিদ্যালয় চত্বরে অনুষ্ঠিত হয় এই পুনর্মিলনী।
পুনর্মিলনীর প্রথম অধ্যায়ে অনুষ্ঠিত হয় প্রাক্তন শিক্ষকদের সংবর্ধনা ও স্মৃতিচারণমূলক আলোচনা সভার মধ্যদিয়ে। স্মৃতিচারণ ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক মো. মখলেছুর রহমান। এতে বক্তব্য রাখেন সাবেক প্রধান শিক্ষক বীরেন্দ্রনাথ সরকার, সাবেক শিক্ষক খন্দকার রিয়াছত আলী, নিতাই রায়, শ্রী ভক্তি কুমার ঝাঁ ও সৈয়দ সাইফুল ইসলাম। প্রথম বারের মতো আয়োজিত পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান উপলক্ষে প্রাক্তন শিক্ষকদের সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।
এর পরেই শুরু হয় দ্বিতীয় পর্বের অনুষ্ঠান। এতে দীর্ঘ বছর পর বাল্যকালের বন্ধুর সঙ্গে দেখা হতেই কুশল বিনিময় শুরু হয়। চলে আলাপচারিতা আর পারিবারিক ও কর্মস্থলের গল্প। কেউ কেউ ফিরে যান বিদ্যালয় জীবনের মজার স্মৃতির কথায়। পুরনো শিক্ষার্থীদের এমন আড্ডায় জমজমাট হয়ে উঠে ঐতিহ্যবাহী গোলাম মোস্তফা (জিএম) পাইলট উচ্চ বিদ্যলয় প্রাঙ্গন। সারাদিন চলে বন্ধু আড্ডা।
বন্ধু আড্ডা ও পরিচিতি পর্বে ৯৫ ব্যাচের শিক্ষার্থী মকিম ও ড্যানি পরিচালনায় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন পুনর্মিলনী আয়োজক কমিটির আহবায়ক ও ১৯৯৫ ব্যাচের ফাস্ট বয় আব্দুল কুদ্দুস আল কাদরি। আয়োজক কমিটির অন্যতম সংগঠক মারুফ আহম্মেদ সাগর, ডাক্তার কুদরত ই খুদা, বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী আনন্দ কুমার গুপ্ত, ব্যাংক কর্মকর্তা ইমন, রজব আলী সাংবাদিক। শামিম আহম্মেদ, ডা. দিলনাহার বেগম, ঢাকা মীরপুর আইডিয়াল গার্লস স্কুল এ্যান্ড কলেজের প্রভাষক মারুফা খাতুন মনি, সিনিয়র শিক্ষক শামিমা আক্তার। এছাড়া ১৯৯৫ সালের সকল শিক্ষার্থীরা তাদের নিজ নিজ পরিচয় ও অনুভুতি প্রকাশ করেন। পরিশেষে অংশগ্রহনকারী সকলকে পুনর্মিলনী ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।