সোমবার, ১৪ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

বড়পুকুরিয়ার ক্ষতিগ্রস্তদের জমি অধিগ্রহণ না করায় লাল পতাকা কর্মসূচী

নিজস্ব প্রতিবেদক
দেশের একমাত্র ভূগর্ভস্থ বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির বিরুপ প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামবাসীরা ক্ষতিপূরণের দাবিতে দীর্ঘদিন থেকে আন্দোলন সংগ্রাম করে আসছেন। খনি কর্তৃপক্ষের টালবাহানায় ক্ষতিপূরণ না পেয়ে আবারও আন্দোলনে ফিরেছে ক্ষতিগ্রস্ত বাঁশপুকুর কাজীপাড়া ও চৌহাটি গ্রামের বাসিন্দারা। জমি অধিগ্রহণ না করা পর্যন্ত খনি কর্তৃপক্ষের অবাধ প্রবেশ ঠেকাতে জমিতে লাল পতাকা টাঙিয়েছেন এলাকাবাসী।

রোববার (১৩ জুলাই) বেলা ১১টায় খনির পূর্ব পাশে ৯নং হামিদপুর ইউনিয়নের চৌহাটি ও বাঁশপুকুর কাজীপাড়ার মধ্যবর্তী জমিতে এই পতাকা টাঙানো হয়।
কৃষি ও বসতবাড়ী রক্ষা কমিটি এবং জীবন ও বসতভিটা রক্ষা কমিটির যৌথ আয়োজনে এ কর্মসূচী পালন করা হয়। এতে দুটি গ্রামের শত শত নারী পুরুষ অংশ নেন।
কৃষি ও বসতবাড়ী রক্ষা কমিটির আহ্বায়ক মাহমুদুন্নবী সোহানের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন, আন্দোলন কমিটির উপদেষ্টা এসএম নুরুজ্জামান জামান, কৃষি ও বসতবাড়ী রক্ষা কমিটির সদস্য সচিব সালমান মাহমুদ, কমিটির সহ-সভাপতি মাহামুদুন্নবী মিলন, জীবন ও বসতভিটা রক্ষা কমিটির অর্থ উপদেষ্টা আতাউর রহমান, তুহিন প্রমুখ।

এসময় বক্তারা বলেন, এই কয়লাখনি করার সময় আমাদেরকে নানা রকম প্রলোভন দেখানো হয়েছিল। তা কখনই বাস্তবায়ন করেনি। ভূগর্ভে বোমা বিস্ফোরনের ফলে আমাদের বাড়ি ঘর ফাটল ধরছে। ফসলের ক্ষতি হচ্ছে। ভূগর্ভে পানির সংকট দেখা দিচ্ছে। আমাদের ক্ষতি হচ্ছে। বারবার আন্দোলন সংগ্রাম করলেও তারা নানা রকম মিথ্যা আশ্বাস, জরিপ, অনুসন্ধান, তদন্তের নামে সময় ক্ষেপণ করছে। তাদের দাবি, জমি আমাদের অধিগ্রহণ করতে হলে আমাদের কাছে করতে হবে। শোনা যাচ্ছে খনি কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সাথে আতাত করছে। তাই, আমাদের জমিতে খনি কর্তৃপক্ষকে আর প্রবেশ করতে দিবনা। তারপরও যদি আমাদের বিনা অনুমতিতে প্রবেশ করে তবে অনাকাঙ্খিত ঘটনার জন্য তারাই দায়ী থাকবে।

বক্তব্য শেষে চৌহাটি ও বাঁশপুকুর গ্রামের বিস্তির্ণ অনধিগ্রহণকৃত জমিতে লাল পতাকা টাঙিয়ে খনি কর্তৃপক্ষের সব ধরনের প্রবেশ নিষেধ ঘোষণা করেন এলাকাবাসী।

গ্রামবাসীরা জানান, ৫ দফা দাবিতে দীর্ঘ দিন ধরে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে আসছেন তারা। দাবি গুলো মধ্যে- অবৈধ ভাবে ভূগর্ভে বিস্ফোরক ব্যবহারের কারণে সকল ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি ঘরের ক্ষতিপূরণ প্রদান, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার রাস্তাঘাট মেরামত, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার বেকার ছেলেমেয়েদের যোগ্যতা অনুযায়ী চাকুরি প্রদান, সিআরএস ফান্ড থেকে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার সামাজিক ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার সুপেয় পানির সংকট দূর করা।

Share This