পঞ্চগড় প্রতিনিধি
পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে ১০০ মেট্রিক টন আতপ চাল আমদানি হয়েছে। আজ বুধবার বিকেলে ভারত থেকে চাল আমদানির তথ্য নিশ্চিত করেন বাংলাবান্ধা ল্যান্ডপোর্ট লিমিটেডের ম্যানেজার আবুল কালাম আজাদ।
তিনি বলেন, গত মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) স্থলবন্দরে ভারত থেকে ৪টি পণ্যবাহী ট্রাকে ১০০ মেট্রিক টন আতপ চাল এসেছে। চালগুলো আমদানি করেছেন আল আমিন এন্টারপ্রাইজের মাধ্যমে পহর ইন্টারন্যাশনাল নামে একটি প্রতিষ্ঠান। সচরাচর এ বন্দরটিতে চাল আমদানি করা হয় না। সরকার অনুমতি দিলেই চাল আমদানি করা হয়। এর আগে দুই বছর আগে চাল আমদানি হয়েছিল। বিশেষ করে এ বন্দর দিয়ে বেশির ভাগ পাথরই আমদানি হয়ে থাকে।
বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরটি দিয়ে প্রায় ৯৮ শতাংশ পাথর আমদানি হয়ে থাকে। পাথর ছাড়াও এ বন্দর দিয়ে মসুর ডাল, গম, ভুট্টা, চিরতা, হাজমলা, যন্ত্রপাতি, প্লাস্টিকদানা, রেললাইনের স্লিপার, খৈল, আদা ও চিটাগুড় আমদানি করা হয়। একই সাথে এ বন্দর দিয়ে ভারত ও নেপালে পাট, ওষুধ, প্রাণ ও ওয়ালটনের পণ্য, জুস, মোটরসাইকেল, ব্যাটারিসহ নানা ধরনের পণ্য রপ্তানি হচ্ছে।
বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা জানান, চারদেশীয় স্থলবন্দর হিসেবে এ স্থলবন্দরটির গুরুত্ব অপরিসীম। বেশ কয়েক বার চাল আমদানি হয়েছিল। মাঝখানে কয়েক বছর বন্ধ থাকার পর আবার চাল আমদানি হয়েছে। এভাবে যদি চালের পাশাপাশি বন্দর সংশ্লিষ্ট দেশগুলো থেকে ভোগ্যপণ্য হিসেবে ফলমূল আমদানি করা যায় তাহলে এখানে খাদ্যপণ্যের দাম কমবে।
বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে আল আমিন এন্টারপ্রাইজ পহর ইন্টারন্যাশনালের মাধ্যমে ১০০ মেট্রিক টন চাল আমদানি করেছে। বিশেষ করে দূরত্বের কারণে এ স্থলবন্দর বন্দর দিয়ে চাল আমদানি করাটা ব্যয়বহুল হওয়ায় অনেকটাই কম আমদানি করা হয়ে থাকে। মার্কেটিংয়ে সমস্যা হয়। তবে আমরা চেষ্টা করছি, ভারতের এক্সপোর্টারদের সাথে কথা বলেছি, যাতে পণ্যের দাম কম রাখা হয়। যাতে সব কিছু মিলিয়ে আমদানিতে প্রফিট করতে পারেন আমদানিকারকরা। বিষয়টি নিয়ে আমি স্থলবন্দরের শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলেছি, যেসব কমার্শিয়াল পণ্য রয়েছে চাল, গম, ভুট্টা, পেঁয়াজসহ আমদানিকৃত পণ্যগুলো যাতে নিরাপত্তার সাথে কাজ করে। সবার সাথে আমি মিটিং করেছি।
বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা উজ্জল হোসেন বলেন, গতকাল মঙ্গলবার বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে ১০০ মেট্রিক টন ভারতীয় আতপ চাল আমদানি করা হয়েছে। চালগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। এভাবে নিয়মিত চালসহ অন্যান্য খাদ্যসামগ্রী পণ্য আমদানি করা হলে আমাদের দেশে ভোগ্যপণ্যের দাম কমবে।