শনিবার, ২৪শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

বীরগঞ্জে উঠছে ফলের রাজা আম

বীরগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
আমের মৌসুমে দিনাজপুরের বীরগঞ্জের পৌরশহরের মহাসড়কের পাশে দু’পাশে ফলের বাজার ভরে উঠছে মধু মাসের রসালো ফলে। সরবরাহ ভালো থাকায় জৈষ্ঠ্যমাসের সুস্বাদু ফলে ভরপুর বাজার। আম,জাম লিচু,কাঁঠাল, কলাসহ বিভিন্ন ফলের গন্ধে ম ম করছে ফলের দোকানগুলো। মধু মাসকে ঘিরে মোড়ে মোড়ে ফলের পসরা সাজিয়ে বসেছেন বিক্রেতারা।
রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ এবং স্থানীয় বাগানের আমে বাজারগুলো সেজেছে রঙিন ও সুগন্ধে। অন্যদিকে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের গ্রামীণ হাটবাজারে বাহারি জাতের পাকা আমে ভরে উঠেছে। ক্রেতারা বলছেন,শহরের বাজারের তুলনায় এসব গ্রামীণ বাজারে দাম কিছুটা কম থাকায় আশপাশের গ্রামের মানুষজন প্রতিদিনই ভিড় করছেন এসব বাজারে আম কিনতে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত উপজেলার গোলাপগঞ্জ, ঝাড়বাড়ি, বাহাদুরহাট,কল্যাণীহাট,প্রেমবাজার,কবিরাজহাট,হাবলুহাট এবং দেবীপুর বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এসব বাজারে সুর্যপুরি,গুটি, খেস্যা, আম্রপালি, ল্যাংড়া, ফজলি, লক্ষণভোগসহ নানা জাতের আম পাওয়া যাচ্ছে। নীলফামারীর জেলার সৈয়দপুর আড়ৎদার থেকে আনা আমের দাম কেজি প্রতি ৭০, ৮০ ও ১০০ টাকা পর্যন্ত হলেও স্থানীয় আম ৪০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
পৌরশহরের মৌসুমি ফল বিক্রেতা রফিকুল ইসলাম বলেন, আমি সকাল থেকে দুপুরেই ৫০ কেজি বিক্রি হয়ে গেছে। মানুষ এখন পাকা আম খুঁজছে বেশি। ল্যাংড়া আম ১০০ টাকায়, মিত্রি ভোগ ৮০
টাকায় বিক্রি হয়।
কল্যাণী বাজার নীল কান্ত রায় বলেন,আমি নিজ বাড়ির গাছের খেস্যা আর গুটি আম এনে বিক্রি করছি। প্রতি কেজি ৩০/৪০ টাকায় প্রায় ২০ কেজি বিক্রি করেছি।
বাড়ির গাছের আম হওয়ায় লোকজন দামাদামি করেই কিনে নেয়। আম ক্রেতা নারায়ণ চন্দ্র বলেন, শহর থেকে গ্রামের বাজারে ভালো মানের আম তুলনামূলক সস্তায় পাওয়া যায়। আম বিক্রেতা মিলন দাস বলেন, প্রতিদিন অন্তত ৬০-৭০ কেজি বিক্রি করি। প্রতি বছর এই সময়টায় গ্রীষ্মকালীন আম বেচাকেনা ঘিরে উৎসবমুখর পরিবেশ থাকে। এবার আমের সরবরাহ ভালো, আশা করছি সামনে দাম আরও কিছুটা কমবে। কেবল তো মৌসুম শুরু।

Share This

COMMENTS