সোমবার, ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বীরগঞ্জে বাড়ছে শীতের তীব্রতা নিম্ন আয়ের মানুষের দুর্ভোগ

বীরগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
উত্তরের জেলা দিনাজপুরের বীরগঞ্জে টানা কয়েকদিন ধরে কমছে রাতের তাপমাত্রা। কুয়াশা পড়ছে রাতের শুরু থেকে সকাল পর্যন্ত। কুয়াশার কারণে সন্ধ্যার পর থেকে বেশ ঠান্ডা অনুভূত হয়। আজ রোববার আবহাওয়া অফিসের তথ্যে মতে, সকাল ৬টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৬ শতাংশ। বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় এক কিলোমিটার। সকাল থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত সূর্যের দেখা নেই। এতে নিম্ন আয়ের মানুষেরা পড়েছে দুর্ভোগে।
বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, কয়েক দিনের তুলনায় ঘন কুয়াশার সঙ্গে বেড়েছে শীতের দাপট। গুঁড়ি গুঁড়ি  বৃষ্টির মতো ঝরছে শিশির বিন্দু, বাড়তে শুরু করেছে হেমন্তে শীতের তীব্রতা। ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে উপজেলার বাসিন্দারা। গত চার দিন সন্ধ্যা থেকে শুরু হয় কুয়াশা। রাতভর বৃষ্টির মতো ঝরে শিশির বিন্দু। কুয়াশার কারণে দিনের বেলায় সড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীর গতিতে চলাচল করছে দূরপাল্লার গাড়িগুলো। একই চিত্র গ্রামাঞ্চলের সড়কগুলোতেও। অন্যদিকে কুয়াশাচ্ছন্ন ও শীতের তীব্রতা বাড়ায় ব্যাহত হচ্ছে মানুষের স্বাভাবিক কাজকর্ম। বিশেষ করে শীতে বিপাকে পড়েছে উপজেলার ছিন্নমূল মানুষ। প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ থেকে রক্ষা পেতে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন অনেকই। এ ছাড়া চরম বিপাকে পড়েছে খেটে-খাওয়া ও নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষ।
 ঘন কুয়াশার সঙ্গে যোগ হয়েছে হিমেল বাতাস ফলে জনজীবন দুর্ভোগে পড়েছে। খেটে খাওয়া মানুষ সময় মতো কাজে যেতে পারছে না। দিনের তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া ও নিম্নআয়ের মানুষ। একদিকে আলু, রসুন ও বোরো ধানের বীজতলা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছে কৃষক। ৫০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে  ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যাও বেড়েছে। পৌরশহরের বিজয় চত্বরে অটো রিকশাচালক দেলোয়ার হোসেন জানান, কয়েকদিন ধরে বীরগঞ্জে ঠান্ডায় কাঁপছে মানুষ। কুয়াশার কারণে দিনের বেলায়ও হেড লাইট জ্বালিয়ে খুব ধীরগতিতে অটো চালাতে হচ্ছে। সামান্য দূরের জিনিসও দেখা যায় না। এতে যাত্রী পাওয়া কঠিন হচ্ছে। উপজেলার ভোগনগর ইউনিয়নের কবিরাজ হাট এলাকার কৃষক রশিদুল ইসলাম জানান,কয়েকদিন ধরে ঘন কুয়াশা আর তীব্র শীতে জুবুথুবু মানুষ। খেত খামার পরিচর্যা করার জন্য লোকজন পাওয়া যাচ্ছেনা। আগম জাতের আলু, পেঁয়াজ রসুন  চাষ নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি।
Share This