প্রিন্ট এর তারিখঃ ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪, ১০:০৩ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ ডিসেম্বর ১৪, ২০২৪, ১২:৪১ অপরাহ্ণ
বীরগঞ্জে বিজয়ের মাসে মৌসুমী ফেরিওয়ালা’র পতাকা বিক্রি
বীরগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
বিজয়ের চেতনায় এ মাসের শুরু থেকেই জাতীয় পতাকার ব্যবহার বেড়ে যায়। এই দিনটিকে ঘিরে দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলায় জাতীয় পতাকার বেচাকেনার ধুম পড়েছে। জাতীয় জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সেই দিনটিকে কেন্দ্র করে চারদিকে লাল-সবুজে ফেরিওয়ালাদের কাধে উপজেলা সদর পৌরসভার বিভিন্ন স্থানে বিক্রি হচ্ছে জাতীয় পতাকা।
ফেরিওয়ালারা উপজেলার বিভিন্ন পাড়া- মহল্লায় ঘুরে ঘুরে জাতীয় পতাকা বিক্রি করছেন বিজয়ের নিশান। কয়েক ফুট লম্বা বাঁশের ওপর থেকে নিচ পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে বড় থেকে ছোট আকারের জাতীয় পতাকা সাজিয়ে পথে পথে পায়ে হেটে ঘুরে ঘুরে পতাকা বিক্রি করছেন মৌসুমী ব্যবসায়ীরা। বিজয়ের মাসে বাংলাদেশেরর গৌরবের লাল সবুজের পতাকা বিক্রির জন্য দিনাজপুর জেলার বীরগঞ্জ পৌর শহরের ঘুরে বেড়াচ্ছেন ফরিদপুর জেলার মৃত আবেদ ভূইয়ার ছেলে লাভলু সহ ৭/৮ সদস্যের একটিদল। পাবনা শহর থেকে বীরগঞ্জ উপজেলাতে পতাকা বিক্রি করতে আসা মজিদ জানান, জীবিকার জন্যই শুধু তার এই পতাকা বিক্রি করা নয়। এই পেশার মধ্যে রয়েছে দেশাত্মবোধ ও দেশপ্রেম। প্রতিবছর বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে তারা ফেরি করে পতাকা বিক্রি করেন। আর বিজয় দিবস যতই ঘনিয়ে আসে ততই তাদের জাতীয় পতাকা চাহিদা বেড়ে যায়। আকার ভেদে ৫০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত জাতীয় পতাকা বিক্রি হচ্ছে। পৌরসভার বিজয় চত্বর এলাকার জাতীয় পতাকা কিনতে আসা মোস্তফা কামাল বলেন, আমার সন্তান ও ভাতিজার জন্য জাতীয় পতাকা ক্রয় করে আমি গর্বিত। আমি মনে করি-পতাকার মাধ্যমে শহীদদের সম্মানকে তাদের হাতে তুলে দিচ্ছি। আর তারা সেটিকে অন্তরে যত্নের সঙ্গে লালন করবে। উপজেলার সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার অধ্যাপক কালিপদ রায় বলেন, দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর এই দেশ স্বাধীন হয়েছে। আমরা বেঁচে থাকার জন্য ভয়াবহ যুদ্ধ করেছি। ত্রিশ লাখ মানুষের জীবন ও দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময় জন্ম হয়েছে আমাদের সোনার বাংলাদেশ। আমরা পেয়েছি লাল- সবুজ পতাকা। সেই অনুভূতি আর সেই ভালোবাসা দেশের প্রতিটি মানুষের হৃদয়ে থাকার প্রয়োজন বলে মনে করেন।
Copyright © 2024 Daily Deshmaa. All rights reserved.