মঙ্গলবার, ৭ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

বৈষম্যবিরোধী সংগ্রাম শুরু হয়েছিল তেভাগা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে

দিনাজপুরে তেভাগা পরিষদের আলোচনা সভায় বক্তারা

দিনাজপুর প্রতিনিধি
“তেভাগার চেতনা ভুলি নাই- ভুলবো না” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে আজ শনিবার তেভাগা পরিষদ দিনাজপুরের আয়োজনে চিরিরবন্দর উপজেলার চেন্দু বটতলা তালপুকুর-বাজিপুর গ্রামের সংযোগ স্থানে তৎকালীন আন্দেলনকারী সমিরুদ্দিন ও শিবরাম মাঝি বৃটিশ পুলিশের বর্বরোচিত গুলিবর্শনে একই স্থানে শহীদ হন এবং উক্ত স্থানে তেভাগা আন্দোলনের প্রথম শহীদ হিসেবে প্রতিবছরের মত ৪ জানুয়ারি শহীদদের স্মরণে পুষ্পস্তবক অর্পণ, আলোচনা সভা সহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন তেভাগা পরিষদ দিনাজপুরের সদস্য সচিব এ্যাড. মো. রেয়াজুল ইসলাম রাজু। তেভাগা দিবসের তাৎপর্য তুলে বক্তব্য রাখেন জেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম শহিদুল্লাহ। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সুলতান কামাল উদ্দীন বাচ্চু, বাংলাদেশের ওয়াকার্স পার্টির জেলা কমিটির সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য, নাট্য সমিতির নাট্যাধ্যক্ষ তরিকুল আলম তরু, বাংলাদেশের সাম্যবাদী আন্দোলনের সমন্বয়ক এএসএম মনিরুজ্জামান মনির, সমাজতান্ত্রিক ক্ষেত মজুর ও কৃষক ফ্রন্ডের মঞ্জুরুল আলম মিঠু। সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মো. সাইফুল ইসলাম, ষষ্ঠি দাস, শহীন সমিরণের নাতি হবি, নাতনি জোৎস্না, যমুনা, আব্দুল মালেক। কবি তুষার শুভ্র বসাক স্থানীয় কমিটির ব্যক্তি বিশ্বনাথ রায়, সত্যন চন্দ্র রায়, দয়ারাম রায়, শান্ত রায়, শাহা আলম। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় কৃষক সমিতি কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক হবিবর রহমান। সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন বিশিষ্ট নাট্যকার, নাট্য পরিচালক তারিকুজ্জামান তারেক। বক্তারা বলেন, বৈষম্যবিরোধী শ্রেণি সংগ্রাম শুরু হয়েছিল তেভাগা আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে। তৎকালীন বৃটিশ শাসকদের বিরুদ্ধে শাসকরা “জান দেবো তবু ধান দেবো না” এই শ্লোগান মুখরিত করে এবং একসময় তাদের বুকের রক্ত দিয়ে তেভাগা আন্দোলনের চেতনা বাস্তবায়ন করেছিল। মনে রাখবেন, কারো অধিকার কেউ হাসিমুখে দেয় না। এর জন্য আন্দোলন, লড়াই, সংগ্রাম করতে হয়। তেভাগার চেতনা আমাদের সেই চেতনায় প্রতিষ্ঠিত করেছে।

Share This