বোচাগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
অদম্য ইচ্ছে শক্তি, পরিশ্রম আর বৃক্ষপ্রেমে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে আজ দিনাজপুরসহ উত্তরবঙ্গের জনপ্রিয় কমলা বাগাগের স্বত্বাধিকারী অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বিশ্বনাথ রায়। দিনাজপুর জেলার বোচাগঞ্জ উপজেলায় ৪ বছর আগে গড়ে ওঠা কমলার বাগান নামের সাথে এখন পরিপূর্ণতায় রুপ নিয়েছে “কমলা ভ্যালী”। কমলা বাগানে মালিকের দেয়া নামে খ্যাত কমলা ভ্যালীর কমলা গাছে ঝুলছে থোকায় থোকায় কমলা। কমলা ভ্যালীতে প্রতিদিন অসংখ্য দর্শনার্থী পরিবার পরিজন, বন্ধু-বান্ধব নিয়ে ভীড় করছেন কমলার বাগান দেখার জন্য। সেই সাথে সেলফি তুলে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিচ্ছেন আগত দর্শনার্থীরা।
বোচাগঞ্জ উপজেলার ইশানিয়া ইউনিয়নের বাড়েয়া গ্রামের সেতাবগঞ্জ সরকারি পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক বিশ্বনাথ রায় ২০২০ সালে ৩ একর জমিতে কমলার বাগান শুরু করেন। গত বছর থেকে ফলন আসা শুরু হয়। তবে গত বছরের চেয়ে এবছর ফলন একটু কম হয়েছে। কারন হিসেবে জানান এবার আবহাওয়া প্রচন্ড খড়া থাকার কারনে ফলন কম হয়েছে। তার বাগানে বর্তমানে সহস্রাধিক দার্জিলিং ও চাইনিজ জাতের কমলার গাছ রয়েছে। এক একটি গাছে ফলন ধরেছে প্রায় হাজার খানেকের মত। এই কমলার বাগানে দর্শনার্থীদের বিনা পয়সায় কমলা খাওয়ানো হয়। পাশাপাশি কেউ কিনতে চাইলে পাইকারি দামে তা বিক্রিও করা হয়। বাগান মালিক বিশ্বনাথ রায় জানান, তিনি ভারতের দার্জিলিং শহরে গিয়ে কমলার দেখে আভিভুত হন। তখন থেকেই তার মনে ইচ্ছে জাগে কমলার বাগান করার। ২০২০ সালে করোনা কালীন সময়ে ঘর বন্দি থাকার সময় তিনি সিদ্ধান্ত নেন তার নিজস্ব জমিতে কমলার বাগান করবেন। এরপর খুলনা থেকে দার্জিলিং ও চাইনিজ জাতের কমলার চারা নিয়ে আসেন। সেই চারা দিয়ে বাড়ির পাশে দেশীয় প্রযুক্তিতে বাগান শুরু করেন। ধীরে ধীরে বাগানের পরিধি বাড়াতে থাকে। বর্তমানে তার কমলা ভ্যালীতে সহস্রাধিক গাছে দার্জিলিং ও চাইনিজ জাতের সুস্বাদু কমলার ফলন এসেছে। প্রতিটি গাছে থোকায় থোকায় হলুদ কমলা শোভা পাচ্ছে। বাগান মালিক বিশ্বনাথ রায় আরো জানান, তার বাগানে দুঃষ্প্রাপ্য অনেক ফলের গাছ রয়েছে যা আমাদের দেশে খুব একটা দেখা যায় না।