বোচাগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
দিনাজপুরের বোচাগঞ্জ উপজেলায় পুকুর থেকে যুবকের লাশ উদ্ধারের ঘটনার ৫দিন পরই মূল আসামীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ প্রশাসন।
ঘটনার বিবরনে জানা গেছে, গত ২৩ জুন উপজেলার ইশানিয়া ইউপির রনটি গ্রামে চেয়ারম্যান উৎপল রায় বুলুর একটি পুকুর থেকে সাধক চন্দ্র রায় (২২) নামে যুবকের লাশ উদ্ধার করে বোচাগঞ্জ থানা পুলিশ। এই ঘটনায় বোচাগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করার পর জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশে ডিবি পুলিশ ও বোচাগঞ্জ থানা পুলিশ হত্যাকান্ডের মূল হোতাকে গ্রেফতার করতে মাঠে নেমে পড়ে। মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে ঘটনার ৫ দিনের মাথায় একই এলাকার তপন কুমার রায়ের ছেলে মনোদীপ নামে এক যুবককে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত মনোদীপ পুলিশের কাছে হত্যাকান্ডের কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দেন। এই ঘটনায় আজ শনিবার বেলা ১১টায় আসামীকে সাথে নিয়ে জেলা পুলিশ সুপার মারুফাত হুসাইন, এডিশনাল এসপি সিফাত আরা, এডিশনাল এসপি (ক্রাইম) আনোয়ার হোসেন, বোচাগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ হাসান জাহিদ সরকার, ওসি (ডিবি) আলমগীর হোসেন বোচাগঞ্জের রনটি গ্রামে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। আসামীর জবানবন্দি দেন সে ঐদিন রাত আনুমানিক ৯টার দিকে মোবাইলে সাধককে পুকুর পাড়ে ডেকে আনে ধার দেওয়া টাকা ফেরত চায় কিন্তু এরই মধ্যে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে মনোদীপ বাঁশের লাঠি দিয়ে সাধকের মাথায় আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই সাধক চন্দ্র রায় মৃত্যু বরন করে। অবস্থা বেগতিক দেখে সাধকের লাশ ও তার মোটর সাইকেলটি পুকুরে ফেলে দেয় হত্যাকারী। পুলিশ পুকুরে ডুবে থাকা ডিসকোভার-১২৫ মোটর সাইকেল ও হত্যার কাজে ব্যবহৃত একটি বাঁশের লাঠি উদ্ধার করে।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা দিনাজপুর পুলিশ সুপার মারুফাত হুসাইন উপস্থিত সাংবাদিকদের জানান, টাকা ধার দেওয়াকে কেন্দ্র করেই এই হত্যাকান্ড সংগঠিত হয়েছে। আমরা চেষ্টা করে অল্প সময়েই মধ্যেই আসামী ধরতে সক্ষম হয়েছি। তিনি বলেন, দিনাজপুরে কোন ধরনের অপরাধ হলে সে অপরাধ আমরা ডিটেক্ট করবো এবং এর সাথে যারা সংশ্লিষ্ট আছে তাদের গ্রেফতার করবো।