সোমবার, ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

মৃত্যুর ১৩৪ দিন পর শহীদ মিনহাজের মরদেহ উত্তোলন

আক্কেলপুর (জয়পুরহাট)প্রতিনিধি
জয়পুরহাটের আক্কেলপুরের গার্মেন্টস কর্মী মিনহাজুল ইসলাম বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন সময়ে গাজীপুরে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। পরে গাজীপুর থেকে তার মরদেহ এনে ময়না তদন্ত ছাড়াই আক্কেলপুরের সোনামুখী ইউনিয়নের উত্তর রামশালা গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। এ ঘটনায় গাজীপুরের গাছা থানায় মামলা হওয়াই আদালতের নির্দেশে ১৩৪ দিন পর মরদেহটি কবর থেকে উত্তোলন করা হয়।
নিহত মিনহাজুল উপজেলার সোনামুখী ইউনিয়নের উত্তর রামশালা গ্রামের আবু বক্করের ছেলে। সে গাজীপুরের বড়বাড়ি এলাকায় তার খালু শাহ্ পরাণের সাথে থাকতো এবং অসুস্থ্য মায়ের চিকিৎসার টাকা জোগার করতে ওই এলাকায় নিউ কোমান্স নামক একটি তৈরী পোষাক কারখানায় কাজ করতো। সেখানে গত ২০ জুলাই গাজীপুরের জয়বাংলা রোড এলাকায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন।
জানা গেছে, মিনহাজুল নিহতের ঘটনায় গত ২৭ সেপ্টেম্বর গাজীপুরের গাছা থানায় চাচা আব্দুল কুদ্দুস বাদি হয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৯৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। এই মামলার প্রেক্ষিতে গাজীপুর মেট্রোপলিটন চীফ জুডিশিয়াল আদালত ০১ অক্টোবর মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয় করতে মরদেহ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের আদেশ দেন। ওই আদেশে রোববার বেলা ১১টায় উত্তর রামশালা গ্রামের মিনহাজুলের পারিবারিক কবরস্থান থেকে মরদেহ উত্তোলন করে ময়না তদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল-মাহবুব, সিভিল সার্জনের প্রতিনিধি ডা. শাহ্ আলম শোভন, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গাজীপুরের গাছা থানার উপ-পরিদর্শক সুমন খান, আক্কেলপুর থানার উপ-পরিদর্শক রাকিবুল ইসলাম।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গাজীপুরের গাছা থানার উপ-পরিদর্শক সুমন খান বলেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চালাকালীন সময়ে গাজীপুরের জয়বাংলা রোড এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মিনহাজুল মারা যান। তখন ময়না তদন্ত ছাড়াই লাশ দাফন করা হয়েছিল। পরে এঘটনায় তার চাচা বাদি হয়ে মামলা করলে ময়না তদন্তের জন্য আদালতের নির্দেশে তার মরদেহটি উত্তোলন করা হয়েছে। ময়না তদন্ত শেষে আবারও মরদেহটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
জেলা প্রশাসনের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল-মাহবুব বলেন, আদালতের নির্দেশে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এবং চিকিৎসকের উপস্থিতিতে ময়না তদন্তের জন্য কবর থেকে মিনহাজুলের মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে। মরদেহটি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে প্রেরণ করা হয়েছে।
Share This