সোমবার, ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

মেয়াদ শেষেও বীমা দাবির টাকা পাচ্ছেনা ফারইস্ট ইসলামীর পাঁচবিবি শাখার গ্রাহকরা

জয়পুরহাট প্রতিনিধি

জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে গ্রাহকের বীমার টাকা ফেরত দিতে টালবাহনা করছে ফারইষ্ট ইসলামী লাইফ ইন্সুইরেন্স কোম্পানি লিঃ এর কর্মকর্তারা।
বীমার মেয়াদ শেষ হওয়ার দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও অফিসে এসে টাকা না পেয়ে ঘুরে যাচ্ছেন তারা। কবে নাগাদ টাকা পাবেন এমন নিশ্চয়তা না পেয়ে হতাশায় ভুগছেন গ্রাহকরা। তবে কর্তৃপক্ষ বলছেন, কেন্দ্রীয় ভাবে অর্থের সংকুলান না থাকায় গ্রাহকদের বীমার টাকা পরিশোধ করতে সাময়িক সমস্যা হচ্ছে।

আজ সোমবার দুপুরে ফারইষ্ট ইসলামী লাইফ ইন্সুইরেন্স কোম্পানি লিঃ এর অফিসে গিয়ে দেখা যায়, কয়েক জন গ্রাহক তাদের মেয়াদ উত্তীর্ণ বীমা দাবির টাকা ও বোনাস নিতে এসে দেখেন অফিসে কোন কর্মকর্তা নেই। গোটা অফিসে জুড়ে শুধু একজন মহিলা ক্যাশিয়ার বসে আছেন। অন্যান্য কর্মকর্তা জেলা অফিসে গেছেন বলে জানান।
এসময় কথা হয় বীমা দাবির টাকা ফেরত নিতে আসা আব্দুল বাসেদ এর সঙ্গে। তিনি জানান, ফারইষ্ট ইসলামী লাইফ ইন্সুইরেন্স কোম্পানি লিঃ পাঁচবিবি শাখায় ১০ বছর মেয়াদী একটি বীমা খোলেন। প্রায় ৬ মাস আগে বীমাটির মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার পরও বীমার টাকা দিচ্ছে না। কাগজ পত্র বহি জমা শুধু একটা টোকেন দিয়ে পরে আসতে বলেন। অফিসে আসলে আজ দিবো কাল দিবো বলে ঘুরাচ্ছে। এখন বলছে টাকা পেতে আরো দুই বছর সময় লাগবে।
রাবেয়া বেগম নামের গ্রাহক বলেন, আমি নিয়মিত বীমার টাকা পরিশোধ করেছি। বোনাস হিসাবে প্রথম দফায় টাকা পেলেও দ্বিতীয় বার আর টাকা পাচ্ছি না। আজ দুইমাস ধরে ঘুরছি কোন কাজ হচ্ছেনা।
গত ২০২০ সালের জুনে প্রতি মাসে ১ হাজার প্রিমিয়ার জমা দেওয়ার মাধ্যমে বীমা খোলেন মিজানুর রহমান। আগামী ২০৩০ সালের জুনে মেয়াদ পূর্তি হবে। আজ মিজানুর রহমানের স্ত্রী শিউলি বেগমে মাসিক প্রিমিয়ারের টাকা জমা দিতে গিয়ে দেখেন অন্য গ্রাহকদের বীমার টাকা ফেরতের সমস্যা। পরে তিনি আর টাকা জমা দেননি। এখন তার চিন্তা তার জমাকৃত টাকা ফেরত পাবেন কি না?
এ বিষয়ে ফারইষ্ট ইসলামী লাইফ ইন্সুইরেন্স কোম্পানি লিঃপাঁচবিবি শাখার ইনচার্জ জাহিদুল ইসলাম বলেন, বড় বড় শেয়ার হোল্ডাররা কোম্পানির টাকা আত্মসাৎ করাই কেন্দ্রীয় ভাবেই অর্থ সংকটের কারণে গ্রাহকদের টাকা ফেরত দিতে সমস্যা দেখা দিয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি সময় বেশি হলেও গ্রাহকের টাকা ফেরত দিতে।
উল্লেখ্য যে এই বীমা কোম্পানির পাঁচবিবি উপজেলা শাখায় প্রায় ৩ হাজার ৮শ গ্রাহক রয়েছেন ।

Share This