বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
বাজারে অস্বাভাবিক ভাবে আলুর দর বৃদ্ধি পাওয়ার প্রেক্ষিতে বিরামপুর উপজেলার কৃষকরা এবার লক্ষ্যমাত্রার অধিক জমিতে আলুর আবাদ করেছেন। নতুন আলু বাজারে এলে দাম কমার আশা থাকলেও চড়া মূল্যের কারণে ক্রেতাদের স্বস্তি মিলছেনা।
অত্যাবশ্যকীয় এই সবজির দাম অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পাওয়ায় অধিক লাভের আশায় এবার উপজেলার কৃষকরা সর্বোচ্চ পরিমাণ জমিতে আলু আবাদ করেছেন। অনেকে আগে অন্য ফসল আবাদ করলেও এবার নতুন ভাবে আলু চাষ করেছেন। উপজেলার মোহনপুর গ্রামের সুফিয়া বেগম তার জমিতে আগে আলুর চাষ না করলেও এবার তিন বিঘা জমিতে আলু রোপন করেছেন। একই গ্রামের জয়নাল মেম্বার গত বছর ৫ বিঘা জমিতে আলু রোপন করলেও এবার রোপন করেছেন ৮ বিঘায়। পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের ভবানীপুর মুন্সিপাড়া গ্রামের কৃষক আবু সাইদ গত বছর আড়াই বিঘা জমিতে আলু রোপন করেছিলেন এবার রোপন করেছেন ৫ বিঘা জমিতে।
কৃষি বিভাগ উপজেলার পৌরসভা ও ৭টি ইউনিয়নে এবার ১ হাজার ৭৫০ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করেছে। তবে কৃষক, এলাকাবাসী ও কৃষি বিভাগের সর্বশেষ তথ্যমতে চলতি মৌসুমে বিরামপুর উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রার অনেক বেশি জমিতে আলুর আবাদ হয়েছে।
আগাম রোপনকৃত নতুন আলু বাজারে উঠলেও তার দাম চড়া। রবিবার ১৫ ডিসেম্বর দুপুরে বাজার ঘুরে দেখা গেছে পুরাতন আলু ৭৫ টাকা কেজি দরে এবং নতুন আলু বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজি দরে। লক্ষ্যমাত্রার অধিক জমিতে আবাদের প্রেক্ষিতে আলুর দাম কমার আশা থাকলেও ক্রেতাদের সে প্রত্যাশা পূরণ হচ্ছেনা।
আলু বিক্রেতা শ্রী রতন কুমার বলেন, নতুন আলু বাজারে উঠলেও মোকামে আলুর দাম বেশী পুরাতন আলুর দাম কাছাকাছি, আরও বেশী আমদানী হলে আলুর দাম কিছুটা কমবে বলে জানান।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ও কৃষিবিদ কমল কৃষ্ণ রায় বলেন, এবার উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রার অনেক বেশি জমিতে আলুর চাষ হয়েছে। আগাম রোপনকৃত আলু বাজারে উঠতে শুরু করেছে। আরো বেশি আলু বাজারে উঠলে দাম কমতে পারে।