শিক্ষকরা সচেতন হলে অন্ধত্বের অভিশাপ থেকে জাতিকে রক্ষা করা সম্ভব -জেলা প্রশাসক

দিনাজপুর প্রতিনিধি
দিনাজপুরে গাওসুল আযম বিএনএসবি আই হসপিতাল দিনাজপুরের আয়োজনে এবং আন্ধেরী হিলফি-জার্মানীর সহাযোগিতায় প্রাথমিক চক্ষু পরিচর্যা প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়।
আজ শনিবার গাওসুল আযম বিএনএসবি আই হসপিতাল কার্যনির্বাহী কমিটির সহ-সভাপতি মো. আতাউর রহমান চৌধুরীর সভাপত্বিতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখতে গিয়ে গাওসুল আযম বিএনএসবি আই হসপিতালের চেয়ারম্যান ও দিনাজপুরের জেলা প্রশাসক মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, চক্ষু পরিচর্যার বিষয়ে শিক্ষকরা সচেতন হলে শত শত শিক্ষার্থীদের দৃষ্টি শক্তি সংরক্ষনের মাধ্যমে অন্ধত্বের অভিশাপ থেকে জাতিকে রক্ষা করা সম্ভব। মানুষ গড়ার কারিগর শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে বলেন, শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার পাশাপাশি নৈতিক শিক্ষার মাধ্যমে জাতিকে শিক্ষিত করার দায়িত্ব আপনাদের। আমার বিশ^াস আপনারা সেই দায়িত্ব সততার সাথে পালন করবেন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আফরোজ জেসমিন। সূচনা বক্তব্য রাখেন চক্ষু হাসপাতালের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্¦ ডা. চৌধুরী মোসাদ্দেকুল ইজদানী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন গাওসুল আযম বিএনএসবি আই হসপিতালের সিনিয়র চীফ কনসানটেন্ড ডা. মো. ইলিয়াস আলী খান। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. মো. জনাব আলী, কোষাধ্যক্ষ সুজা-উর রব চৌধুরী, নির্বাহী সদস্য আফতাব উদ্দিন মন্ডল, সবুর চৌধুরী, মো. সাইদুর রহমান, আবুল কালাম মো. জিয়াউল ইসলাম। সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন বাংলাদেশ জাতীয় অন্ধ কল্যাণ সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য এ্যাড. মেহেরুল ইসলাম। চক্ষু দৃষ্টি শক্তি, অন্ধত্ব, প্রতিরোধ ও প্রতিকার, শিশু চক্ষু রোগের চিকিৎসা ও প্রাথমিক চক্ষু পরিচর্যার বিষয়ে দিন ব্যাপি প্রশিক্ষণ প্রদান করেন হাসপাতালের উপদেষ্টা চিকিৎসক ডা. টি জামান ও সিনিয়র চীফ কনসালটেন্ড ডা. মো. ইলিয়াস আলী খান। প্রশিক্ষণে দিনাজপুর জেলার খানসামা, বীরগঞ্জ , বোচাগঞ্জ, বিরল, সদর, নবাবগঞ্জ, বিরামপুর, ঘোড়াঘাটের ৫০জন শিক্ষক অংশগ্রহন করেন। সার্বিক তত্ববধানে ছিলেন উপ-পরিচালক মো. শফিকুল আলম।