হিলি স্থলবন্দর বন্দর ও সীমান্ত এলাকা পরিদর্শনে সিনিয়র সচিব আকমল হোসেন আজাদ

হিলি প্রতিনিধি
দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর এলাকার হিলি-ঘোড়াঘাট মহাসড়ক (এন-৫২১) মানে উন্নীতকরণসহ ৩টি গুরুত্বপূর্ণ সড়কের বিদ্যমান সরু/জরাজীর্ণ কালভার্টসমূহ পুনঃনির্মাণ এবং বাজার অংশে রিজিড পেভমেন্ট ও ড্রেন নির্মাণ কাজ এবং সীমান্তের জিরো পয়েন্ট এলাকা পরিদর্শন করেছেন বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য সিনিয়র সচিব এমএ আকমল হোসেন আজাদ।
আজ শুক্রবার বিকেলে তিনি সড়ক পথে হিলি স্থলবন্দর ও সড়ক গুলো পরিদর্শনে এসে জেলা পরিষদের ডাকবাংলোতে পৌঁছালে এসময় তাকে ফুলেল শুভেচছা জানান হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অমিত রায় ও হাকিমপুর থানার অফিসার ইনচার্জ নাজমুল হোসেন। পরে স্থানীয়দের জমি অধিগ্রহণ ও বন্দর এলাকার রাস্তার অভিযোগের কথা শুনেন এবং দ্রুত সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন। এরপর তিনি হিলি সীমান্তের জিরো পয়েন্ট এলাকা পরিদর্শন করেন। এসময় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি সদস্যদের কুশল বিনিময় করেন এবং হিলি রেলস্টেশনে আন্তঃনগর ট্রেন দাঁড়ানোর বিষয়ে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস দেন।
পরে তিনি হিলি স্থলবন্দরের পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেডের কার্যক্রম পরিদর্শনে যান। এসময় পরিদর্শন বহীতে স্বাক্ষর করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন রংপুর জোন এর নির্বাহী প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম, জেলা সড়ক বিভাগের এক্সেন অফিসার মো. আসাদুজ্জামান, হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অমিত রায়, ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম, হাকিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো. নাজমুল হোসেন, ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো. নাজমুল হোসেন, পুলিশ পরিদর্শক ওসি তদন্ত এস এম জাহাঙ্গীর আলম, স্থানীয় সাংবাদিক সহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
পরিদর্শন ও বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমরা জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পরে নগ্ন ও ভেঙে পড়া যে অবকাঠামো পেয়েছি। সেগুলো তদারকি করতে এবং সরজমিনে দেখতে আজকের এই সফর। দেশের দ্বিতীয় স্থলবন্দর হিলি। এই বন্দরের ৯ কিলোমিটার রাস্তার খুবই খারাপ অবস্থা এটার জন্য নতুন করে সড়ক ও জনপথ বিভাগ প্রকল্প নিবেন। হিলি স্থলবন্দরের ফোরলেন সড়ক, হিলি স্থলবন্দর থেকে ঘোড়াঘাট ও হিলি-হিচমী-জয়পুরহাট মহাসড়কের কাজ গুলোর বাস্তব অবস্থা দেখার জন্য আমরা মাঠ পর্যায়ে এসেছি। সমস্যা গুলো দ্রুত সমাধান করা হবে। সবশেষে তিনি জয়পুরহাট এর উদ্দেশ্য রওনা দেন।