মঙ্গলবার, ৯ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

২’শ মিটার কাঁচা রাস্তায় ৫ প্রতিষ্ঠানের জনদুর্ভোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক
বৃষ্টি হলেই পানি জমিয়ে থাকে রাস্তায়। লাল মাটির নর্দমার কাদা মাড়িয়ে ভূমি অফিসে যেতে হয়। অদূরেই আছে মসজিদ, মাদ্রাসা, মেলাবাড়ী হাট এবং জয়কৃষ্ণপুর গ্রাম। ভূমি অফিসের সেবা নিতে যানবাহন রেখে আসতে হয়। মাত্র দু’শ মিটার রাস্তা পাকা হলেই ভোগান্তি কমবে ৫ প্রতিষ্ঠানে যাতায়াতকারীদের।
দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার আলাদিপুর ইউনিয়নের আলাদিপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে যেতে দীর্ঘদিন ধরে লাল মাটি এবং নর্দমার কাদা মাড়িয়ে অফিসে যাতায়াত করতে হয়। ভুক্তভোগীরা বলছেন, এই রাস্তার উপর দিয়ে অদূরেই মসজিদে যেতে হয় মুসল্লীদের, মেলাবাড়ী দাখিল মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রীরা যাতায়াত করে, জয় কৃষ্ণপুর গ্রামের গ্রামবাসীদের দীর্ঘদিনের সমস্যা। মেলাবাড়ী হাটেও এই কাদা মাড়িয়ে যাতায়াত করতে হয়। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় দীর্ঘদিন ধরে বর্ষা মৌসুমে এই ভূমি অফিসের সামনে কাদা হয়, পানি জমিয়ে থাকে। ভূমি অফিসটি পাকা হলেও অফিসের সামনের রাস্তা পাকা কিংবা ইট বিছানো না থাকায় ভূমি অফিসের সেবা নিতে আসা ভুক্তভোগীরা কোনো যানবাহন নিয়ে ভূমি অফিসে আসতে যেতে পারেন না। এক শ’ দু’শ মিটার দূরে রেখে আসতে হয় সেসব যানবাহন। দুশ’ মিটার রাস্তা পাকা করলেই ৫ প্রতিষ্ঠান ও সেবা প্রত্যাশীরা স্বস্তি পায়।
গতকাল রোববার ইউনিয়নের বাসুদেবপুর গ্রাম থেকে জমির খাজনা দিতে তার বাইক নিয়ে এসেছেন সবুজ সরকার। কাদার জন্য ২০০ মিটার দূরে বাইক রেখে ভূমি অফিসে আসতে হয়েছে বলে জানালেন। দূরের থেকে ভূমি অফিসে এসেছেন অবসর প্রাপ্ত সেনা সদস্য আফজাল হোসেন। তিনিও এই সমস্যার কথা জানালেন।
স্থানীয় মেলাবাড়ী বাজারের ব্যবসায়ী ও কলেজ শিক্ষক মিজানুর রহমান জানালেন, কয়েক বছর ধরে ভূমি অফিসের সামনে বর্ষা মৌসুমে এমন কাদা হয়ে থাকে। লাগাতার বৃষ্টিপাত হলে পানি জমে আরো কাদা বেশি হয়। তখন ভূমি অফিসে পায়ে জুতো পরে যাওয়াই মুশকিল হয়ে যায়। যানবাহন নিয়ে যাওয়া তো দূরের কথা!আশপাশের অজোপাড়া গায়ের রাস্তা পাকা হলেও অদ্যাবধি ভূমি অফিসে রাস্তা এখনো আধুনিকতার ছোঁয়া লাগেনি।
আলাদীপুর ভূমি অফিসের ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা মো. লুৎফর রহমান জানান, এই ইউনিয়নের সাড়ে ১০ হাজার হোল্ডিং এর কাজ হয়। সরকারের রাজস্বও আদায় হয় সন্তোষজনক। সেবা নিতে প্রতিনিয়ত লোক আসে। বর্ষাকালে ভূমি অফিসের সামনে এরকম কাদা হয়ে থাকে। সেবা নিতে আসা জনগণের প্রচন্ড রকমের কষ্ট হয়। ইউএনও স্যারকে বলা হয়েছে, চেয়ারম্যানকে বলা হয়েছে-রাস্তার কাজ হবে হচ্ছে করে বছরকে বছর চলে যায়,কাজ আর হয় না।
আলাদীপুর ইউপি চেয়ারম্যান নাসমুশ সাখির বাবুল বলেন,আলাদিপুর ভূমি অফিসের সামনের কাদা সমস্যা দীর্ঘদিনের।ইউএনও স্যার একটা প্রজেক্ট দিতে চেয়েছিল, এখনো দেননি। দিলে হয়তো কাজ করা যাবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ইসাহাক আলী বলেন, ভোগান্তির বিষয়টি নিজেও দেখেছি। আলাদীপুর ভূমি অফিসের সামনের রাস্তাটা আমরা পাকা করে দেব। আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই হয়তো কার্যক্রম শুরু করা যেতে পারে।

Share This