ফুলবাড়ী পূজা উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক আনন্দ গুপ্ত, সদস্য সচিব রতন চক্রবর্তী


আনন্দ কুমার গুপ্ত (আহ্বায়ক) ও রতন চক্রবর্তী (সদস্য সচিব)।
নিজস্ব প্রতিবেদক
দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম প্রধান সামাজিক ও ধর্মীয় সংগঠন ‘বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের ফুলবাড়ী উপজেলা শাখা’র আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। নবগঠিত কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন আনন্দ কুমার গুপ্ত এবং সদস্য সচিব হিসেবে রতন চক্রবর্তীকে নির্বাচিত করা হয়েছে ।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ দিনাজপুর জেলা শাখার সভাপতি স্বরুপ বকসী বাচ্চু, সাধারণ সম্পাদক উত্তম কুমার রায় ও সাংগঠনিক সম্পাদক সনজীত কুমার রায় স্বাক্ষরিত পত্রে আজ রোববার এই আহ্বায়ক কমিটির অনুমোদন দেয়া হয়।
কমিটি ঘোষণার পর আয়োজিত এক সভায় নবনির্বাচিত আহ্বায়ক আনন্দ কুমার গুপ্ত বলেন, “পূজা উদযাপন শুধু ধর্মীয় আচার নয়; এটি আমাদের সামাজিক ঐক্য, সংস্কৃতি ও প্রজন্মের ঐতিহ্য বহন করে। আমরা সেই ঐতিহ্যকে সমুন্নত রাখতেই কাজ করব।”
সদস্য সচিব রতন চক্রবর্তী জানান, পূর্ণাঙ্গ কমিটি শিগগিরই ঘোষণা করা হবে এবং সবার সহযোগিতায় আগামী দূর্গাপূজাসহ সব উৎসব সফলভাবে সম্পন্ন করা হবে।
স্থানীয় সনাতন ধর্মাবলম্বীরা আশা প্রকাশ করেছেন, নতুন কমিটি ধর্মীয় সম্প্রীতি রক্ষা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন এবং সমাজসেবামূলক কর্মকাণ্ডে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। অনেকেই মনে করেন, প্রতি বছর পূজা উদযাপনের সময় যেসব সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়- যেমন নিরাপত্তা, পরিবেশ রক্ষা, আর্থিক সংকট-তা সমাধানে এই কমিটি সক্রিয় ভূমিকা নেবে।
ফুলবাড়ী বহুদিন ধরেই ধর্মীয় সম্প্রীতির একটি উজ্জ্বল উদাহরণ। হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান সম্প্রদায় একসাথে বিভিন্ন উৎসব পালন করে আসছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা কমিটির সঙ্গে সমন্বয় রেখে শারদীয় দূর্গোৎসবসহ সব ধরনের পূজা-পার্বণ শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপনের আশ্বাস দিয়েছেন।
নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটি ইতোমধ্যে বিভিন্ন পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছেন-
প্রতিটি মণ্ডপে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন, যুবসমাজকে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে সম্পৃক্ত করা, ধর্মীয় ও সামাজিক কার্যক্রমে নারীর অংশগ্রহণ বাড়ানো, পূজাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় অর্থনীতি চাঙ্গা করতে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা প্রদান।
২১ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন, শম্ভু প্রসাদ গুপ্ত, ধীরেন্দ্র নাথ সরকার, অমিত কুমার গুপ্ত, শচীন্দ্র নাথ রায়, অন্তর কুমার মহন্ত, সুমন চন্দ্র সরকার, শংকর চন্দ্র মন্ডল, পাপন সরকার, উদয় দত্ত, মুকুল চন্দ্র পাল, কুমোদ চন্দ্র রায়, নিমাই রায়, রাজকুমার রায়, সুশান্ত সরকার, ধর্মচন্দ্র বর্মন, সুধীর চন্দ্র রায়, সুজন চন্দ্র রায়, ঈশ্বর চন্দ্র রায়, ব্রজেন্দ্র নাথ রায়।
সরকারের পট পরিবর্তনের পর নতুন ভাবে ঢেলে সাজানো হয়েছে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সব কমিটি। বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের গঠনতন্ত্রের বিধান অনুযায়ী আগামী ৯০ দিনের মধ্যে আহ্বায়ক কমিটিকে পুর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করতে হবে।