বুধবার, ৮ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

বড়পুকুরিয়ার ক্ষতিগ্রস্তদের লাঠি মিছিল

নিজস্ব প্রতিবেদক
দেশের একমাত্র উৎপাদনশীল ভূগর্ভস্থ বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির বিরুপ প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামবাসীরা ক্ষতিপূরণের দাবিতে দীর্ঘদিন থেকে আন্দোলন সংগ্রাম করে আসছেন। খনি কর্তৃপক্ষের টালবাহানায় ক্ষতিপূরণ না পেয়ে আবারও আন্দোলনে ফিরেছে ক্ষতিগ্রস্ত বাঁশপুকুর কাজীপাড়া ও চৌহাটি গ্রামের বাসিন্দারা। মূল মালিকদের থেকে সরাসরি জমি অধিগ্রহণ, অধিগ্রহণ সম্পন্ন না করা পর্যন্ত জমিতে কোন রকম জরিপ, স্থাপনা নির্মাণ বন্ধসহ ৫ দফা দাবিতে এই লাঠি মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
আজ শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টায় খনি এলাকার হামিদপুর মোড়ে কৃষি ও বসতবাড়ী রক্ষা কমিটি এবং জীবন ও বসতভিটা রক্ষা কমিটির যৌথ আয়োজনে এ কর্মসূচী পালন করা হয়। এতে চৌহাটি ও বাঁশপুকুর কাজীপাড়া গ্রামের শত শত নারী পুরুষ লাঠি হাতে অংশ নেন।
এর আগে সংক্ষিপ্ত পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে কৃষি ও বসতবাড়ী রক্ষা কমিটির সহ-সভাপতি মাহমুদুন্নবী মিলনের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন, কৃষি ও বসতবাড়ী রক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সালমান মাহমুদ, জীবন ও বসতভিটা রক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক এসএম তানজিদ, সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম মিলন পারভেজ প্রমুখ।
বক্তব্য শেষে চৌহাটি ও বাঁশপুকুর গ্রামের কয়েকশ বাসিন্দা লাঠি হাতে বাঁশপুকুর কাজীপাড়া থেকে মিছিল নিয়ে হামিদপুর, চৌহাটি প্রদক্ষিণ করে আবারও হামিদপুর মোড়ে এসে শেষ হয়।
গ্রামবাসীরা জানান, ৫ দফা দাবিতে দীর্ঘ দিন ধরে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে আসছেন তারা। দাবি গুলো মধ্যে- অবৈধ ভাবে ভূগর্ভে বিস্ফোরক ব্যবহারের কারণে সকল ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি ঘরের ক্ষতিপূরণ প্রদান, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার রাস্তাঘাট মেরামত, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার বেকার ছেলেমেয়েদের যোগ্যতা অনুযায়ী চাকুরি প্রদান, সিআরএস ফান্ড থেকে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার সামাজিক ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার সুপেয় পানির সংকট দূর করা। এছাড়াও ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় বহিরাগতদের অবকাঠামো নির্মাণ বন্ধ করা, তৃতীয় পক্ষ এড়িয়ে জমির মূল মালিকদের সাথে আলোচনা করা, জমি অধিগ্রহণে খনি কর্তৃপক্ষের কালক্ষেপণ বন্ধ করার দাবি জানানো হয়।

Share This