মাদ্রাসার সুপারের বিরুদ্ধে অনিয়ম দুর্নীতিসহ ১৩ অভিযোগের তদন্ত শুরু


নিজস্ব প্রতিবেদক
অভিযোগের ৫মাস পর দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার বড়পুকুরিয়া কাদেরিয়া দ্বি-মূখী দাখিল মাদ্রাসার সুপার ও সাবেক উপজেলা ওলামা লীগ সভাপতি নুরুজ্জামান আকন্দ’র বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের ১৩ দফা অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। আজ সোমবার দুপুরে অভিযোগ তদন্তে সরেজমিনে আসেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মিরাজুল ইসলাম।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে ১৩ দফা অভিযোগের মধ্যে রয়েছে টেন্ডার ছাড়াই প্রায় কোটি টাকার মাদ্রাসার ভবন নির্মাণ, নিয়োগ বাণিজ্য, অবৈধভাবে ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন, ভুয়া ছাত্র/ছাত্রী দেখিয়ে উপবৃত্তির টাকা আত্মসাৎ, ব্যাংক হিসাব পরিচালনায় অনিয়ম, ভুয়া ছাত্র/ছাত্রী দেখিয়ে সরকারী বই তছরূপ, ভুয়া বিল ভাউচার দাখিল, শিক্ষকদের সাথে অসাদাচরণ, মাদ্রাসার প্রকৃত জমির হিসাব দাখিলে অনিয়ম ইত্যাদি।
অভিযোগকারী ওই মাদ্রসার শিক্ষক প্রতিনিধি আশরাফুল ইসলাম জানান, সুপারের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সবই সত্য। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতার আসার পরপরই বদলে যায় তার চলার গতি। উপজেলা ওলামা লীগের সভাপতি হয়ে সাবেক সংসদ-সদস্য মরহুম মোস্তাফিজুর রহমান ফিজারে প্রভাব খাটিয়ে মাদ্রাসায় শুরু করেন নিয়োগ বাণিজ্য।
এছাড়াও ২০২৩ সালে জেসমিন নামে একজনকে আয়া পদে চাকরি দেওয়ার কথা বলে ৬ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন তিনি। কিন্তু তাকে চাকরি না দিয়ে আরও বেশি টাকা নিয়ে অন্য একজনকে নিয়োগ দেন। এ নিয়ে মাদ্রাসায় সালিশ বৈঠক হয়। কিন্তু আজ পর্যন্ত তার টাকা ফেরত দেওয়া হয়নি। আওয়ামী লীগের স্থানীয় দোসরদের মাদ্রাসার কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করতে অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচনে ভুয়া ভোটার তালিকা তৈরি করেছেন। তিনি বলেন, আমি মাদ্রাসার সুপার নুরুজ্জামান আকন্দ’র শাস্তি দাবি করছি।
জানতে চাইলে মাদ্রাসার সুপার নুরুজ্জামান আকন্দ তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেন।
তদন্তকারী কর্মকর্তা পার্বতীপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মিরাজুল ইসলাম বলেন, তদন্ত চলমান রয়েছে, তদন্তের রিপোর্ট খুব শীঘ্রই উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও বড়পুকুরিয়া কাদেরিয়া দ্বি-মূখী দাখিল মাদ্রাসার সভাপতির নিকট দাখিল করা হবে।
