কী ঘটতে যাচ্ছে আগামী ২৪ ঘণ্টায়, সামরিক অভিযান না কূটনৈতিক সমাধান

অনলাইন ডেস্ক
আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই কি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক অভিযানে সবুজ সংকেত দেবেন, নাকি কূটনৈতিক সমাধানের পথ খুলে যাবে? ট্রাম্প গর্ব করে বলছেন, তিনি “শেষ মুহূর্তে সিদ্ধান্ত নিতে পছন্দ করেন।”
এটি কি মানসিক চাপ তৈরির কৌশল, নাকি চুক্তি করার ক্ষেত্রে তার নিজের বিশ্বাস করা সেরা পন্থা?
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি আগামীকাল জেনেভায় ব্রিটিশ, জার্মান ও ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে আলোচনায় অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে। একইসঙ্গে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ নিউইয়র্কে বৈঠকে বসছে।
ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ মিত্র দেশসমূহ—সৌদি আরব, কাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরাত—তার সাম্প্রতিক বিদেশ সফরের সময় স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, তারা নিজেদের এলাকায় কোনো যুদ্ধ চায় না।
এখনো ট্রাম্প ইঙ্গিত দিচ্ছেন, একটি সমঝোতায় পৌঁছানো সম্ভব।
ইসরাইলের হামলার কয়েক দিন আগেই আমি ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও ওমানের শীর্ষ কূটনীতিক আল বুসাইদির (যিনি মধ্যস্থতাকারী) সঙ্গে দেখা করেছি—তারা তখন রোববার অনুষ্ঠিতব্য আলোচনার প্রস্তুতিতেই মনোযোগী ছিলেন। পশ্চিমা কূটনীতিকরাও মনে করছিলেন, একটি চুক্তি সম্ভব। তবে প্রধান সমস্যা ছিল—যুক্তরাষ্ট্র কি ইরানের পারমাণবিক সমৃদ্ধকরণ শূন্যে নামিয়ে আনার দাবি থেকে সরে আসবে কি না—যা ইরানের জন্য একটি ‘রেড লাইন’।
এদিকে তেহরান ও ওয়াশিংটন মুখে কঠোর অবস্থান নিচ্ছে, ইরান ও ইসরাইল হামলা তীব্র হচ্ছে, আর এর পেছনে গোপনে একাধিক ফোনালাপ চলছে।