ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফেরার পথে সড়কেই প্রাণ গেল দুই বন্ধুর

নিজস্ব প্রতিবেদক
ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফেরার পথে দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে ট্রাক ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুই বন্ধুর মৃত্যু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৭ টায় দিনাজপুর-গোবিন্দগঞ্জ আঞ্চিলিক মহাসড়কের ফুলবাড়ী উপজেলার রাঙ্গমাটি বিজিবি ক্যাম্প সংলগ্ন ডাঙ্গাপাড়া এলাকায় এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, জেলার কাহারোল উপজেলার জগন্নাথপুর রামপুর গ্রামের আনারুল ইসলামের ছেলে সাজু ইসলাম (৩৩), অপরজন একই উপজেলার জয়রামপুর গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক এর ছেলে মোতালেব হোসেন (২৭)। তারা দুইজন বন্ধু ছিলেন, মোটরসাইকেলের চালক মোতালেব ঢাকায় পাঠাও এ রাইড শেয়ার করতেন ও অন্যজন মোটরসাইকেল আরোহী সাজু অন্য কাজ করতেন। ঘটনা নিশ্চিত করেছেন ফুলবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএমএম খন্দকার মুহিব্বুল ইসলাম।
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলার সাজু ইসলাম ও মোতালেব হোসেন দুই বন্ধু ঢাকায় থাকেন। মোতালেব একজন বাইক রাইডার ও সাজু অন্য কাজ করতেন। তারা দুজন ঈদ করতে বাড়ীতে এসেছিলেন, ঈদ শেষে মঙ্গলবার (১৭ জুন) ভোরে বাড়ী থেকে ঢাকা কর্মস্থলে যাওয়ার জন্য মোটরসাইকেল যোগে রওনা দেয়। সকাল সাড়ে ৬টার দিকে ফুলবাড়ী উপজেলার রাঙ্গমাটি বিজিবি ক্যাম্প সংলগ্ন ডাঙ্গাপাড়া এলাকা পৌছালে (ঢাকা- মেট্রো ন-১৯-১৬২৬) প্লাষ্টিকের ঝুড়ি বোঝাই একটি ট্রাক ফুলবাড়ী থেকে দিনাজপুর অভিমুখে যাওয়ার সময় নিয়ন্ত্রন হারিয়ে বিপরিত দিক থেকে আসা (ঠাকুরগাঁও-ল-১১-৪২৯২) মোটরসাইকেল এর সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ট্রাকটি সড়কের পাশে উল্টে যায় এবং মোটরসাইকেলটি দুমড়ে মুচড়ে যায়। এসময় মোটরসাইকেল চালক মোতোলেব হোসেন ও তার বন্ধু সাজু ইসলাম গুরুত্বর আহত হয়। স্থানীয়রা দুইজনকে উদ্ধার করে ফুলবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত সাজুর চাচাত ভাই তরিকুল ইসলাম জানান, তারা দুজন বন্ধু ঢাকায় থাকত, মোতালেব বাইক রাইডার ছিলেন ও সাজু অন্য কাজ করত। ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফেরার পথে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
ফুলবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম খন্দকার মুহিব্বুল ইসলাম ঘটনা নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে হাসপাতালে গিয়ে তাদের মরদেহ সুরতহাল করা হয়েছে। ট্রাকটির চালক ও সহোযোগি পালিয়ে গেছে। এ ঘটনায় সড়ক আইনে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হবে। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে দুজনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।